গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের উপদেষ্টা থেকে প্রতিমন্ত্রী: একটি এনজিওগ্রাম কাহিনী
![]() |
বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী |
"বাঙালির ইলন মাস্কের একমাত্র যোগ্যতা তিনি গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের উপদেষ্টা। ব্রিটিশ আমেরিকান সিগারেট কোম্পানিতে চাকরি করেছেন। স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ও এইচএসবিসি ব্যাংকে ম্যানেজার পদে চাকরি করেছেন। লন্ডনের আমেরিকান এয়ারলাইন্সে চাকরি করেছেন। একটা ব্যাংকারের মাসিক বেতন কত? একটা সিগারেট কোম্পানির আঞ্চলিক অফিসারের মাসিক বেতন কত হয়? এমন একজন লোককে হঠাৎ করে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিলে তবে সে সিঙ্গাপুর কেন, আমেরিকা থেকেও উড়ে চলে আসবে এটাই স্বাভাবিক?
শুধুমাত্র ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে ১০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনার ভিসার কথা বলে লন্ডনে গেছেন। কয়েক হাজার শিক্ষার্থী লন্ডনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
৪ লাখ ৮৬ হাজার শিক্ষার্থী স্পন্সর্ড স্টাডি ভিসায় এই মুহূর্তে লন্ডনে অবস্থান করছেন। শুধুমাত্র কেউ লন্ডন বিজনেস স্কুলে পড়াশোনা করে আসলেই তাকে বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান বানিয়ে দিবেন? এসব জাতির সাথে ফাতরামো ছাড়া আর কিছুই নয়।
সুইডেনের লিনিয়া ইঙ্গেগ্রাড লারসন ১০৩ বছর বয়সে স্কাইডাইভিং করে রেকর্ড গড়েছেন,- এজন্য তাকে সুইডেনের মন্ত্রী বানিয়ে দিতে হবে? অথবা যুক্তরাষ্ট্রের আলফ্রেড আল ব্লাশেকও স্কাইডাইভিং করে রেকর্ড গড়েছেন। এজন্য তাকে কি যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রী বানিয়ে দেওয়া হয়েছে? তবে স্কাই ডাইভার আশেক চৌধুরীকে কেন রাষ্ট্রের এত বড় দায়িত্ব দেওয়া হলো?
২০২১ সালে বিনিয়োগ সম্মেলনের যাত্রা শুরু করেছিলেন শেখ হাসিনা। পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে বিনিয়োগকারীরা প্রতিবছর এই সম্মেলনে আসছে। ৪৫ বিলিয়নের বিনিয়োগকে শেখ হাসিনা প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগে পরিণত করেছেন। কিন্তু এতে আশেক চৌধুরী ও ড. ইউনাসের কি অবদান? এরা কি কখনো রাষ্ট্রীয় কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন? কি অভিজ্ঞতা আছে এদের ?
আশেক চৌধুরীর বড় যোগ্যতা হচ্ছে তিনি ড. ইউনুসের গ্রামীণ টেলিকমে কাজ করেছেন। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলতেন। ডেসটিনি ও ইউনিপে টু ইউ এর মতো বড় বড় স্বপ্ন দেখিয়ে দেশের মানুষকে' বানাতে পারেন।
এই আশেক চৌধুরীর নাম পর্যন্ত শুনেনি পাশের দেশ ভারতের আদানি পরিবার। ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস, বিল গেটস এই আশেক চৌধুরীর সাথে দেখা হওয়া তো তো দূরের কথা, নাম পর্যন্ত শুনেননি। তারচেয়ে মাইক্রোসফটের মালিক বাংলাদেশের অনুজীব বিজ্ঞানী ড. সমীর সাহা ও তাঁর মেয়ে সেঁজুতি সাহাকে খুব ভালোভাবেই চিনেন। বাংলাদেশের মেয়ে সেঁজুতি সাহা পৃথিবীর বিখ্যাত অনুজীব বিজ্ঞানীদের একজন। বিল গেটসের মত বিখ্যাত মানুষ তাকে নিয়ে নিজের পার্সোনাল ব্লগে লিখেছেন। ২০২০ সালে এশিয়ার সেরা বিজ্ঞানীর তালিকায় ছিলেন সেঁজুতি সাহা। পৃথিবী বিখ্যাত খ্যাতনামা বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেট সেঁজুতি সাহাকে নিয়ে তাদের প্রোফাইল প্রকাশ করেছে। সেঁজুতি সাহা SARS- CoV2 এর জিনোম ডিকোডিং করার মাধ্যমে সারাবিশ্বে পরিচিতি পেয়েছেন। পৃথিবী বিখ্যাত সেরা ১০ জন বিজ্ঞানীর তালিকায় সেঁজুতি সাহা নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি বলেছে, পৃথিবীর নারী বিজ্ঞানীদের রোল মডেল হচ্ছে সেঁজুতি সাহা। তিনি কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনবিক জিনতত্বে পিএইচডি করেছেন। সারাবিশ্বে সেঁজুতি সাহা নিজেই একটা সাইনবোর্ড। তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য কোন "ইউসুফ জাই"য়ের দরকার হবে না।
আশীক চৌধুরী থেকে সেঁজুতি সাহা হাজার গুণ বেশী যোগ্যতা রাখেন।
সত্য সবসময় সুন্দর।"
লুসিড ড্রিম (ওমর ফারুখ শুভ)