আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের আইনজীবী থাকার কারণেই কি গ্রেফতার করা হলো ব্যারিষ্টার তুরিন আফরোজকে?

 
ব্যারিষ্টার তুরিন আফরোজ    

ব্যারিষ্টার তুরিন আফরোজকে কেনো গ্রেফতার করা হলো তা বোধগম্য নয়। বিষয়টা রহস্যজনকই মনে হচ্ছে! ৫ই আগষ্টে বার তার পরপর তাকে আক্রমণ করা হয়েছিলো। তারপর থেকে তিনি নিভৃতেই সময় কাটাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তেমন সক্রিয় না। মাঝেমধ্যে দুয়েকজনের পোষ্টে কমেন্ট করেন, এই।

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ছিলেন ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে’র অন্যতম আইনজীবী। বর্তমান সেই ট্রাইবুনালের যিনি প্রধান কৌশুলী, জনাব তাজুল অইসলাম তখন ছিলেন তার বিপক্ষ কৌশুলী, অর্থাৎ যুদ্ধাপরাধিদের পক্ষের আইনজীবী। কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে নাকি, “কেনো যাদ্ধাপরাধীদেরকে ফাঁসি দেয়া হলো” সেই অপরাধে(!) তাকে গ্রেফতার করা হলো?

উত্তরার বাসা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময়

অন্য একটি কারণও থাকতে পারে। গত ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে ফেসবুকে দেয়া এক পোষ্টে তিনি নিজেই জানিয়েছেন তার উত্তরার বাড়ি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাকে হুমকি ধামকি দেয়ার কথা। তিনি জানিয়েছেন, তার বিপক্ষদের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও তারা বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তার ভাষায়ঃ

১।  আমাকে নিয়ে জঘন্য মিথ্যাচার করে আসছে।

২।  উত্তরার বাড়িতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আদেশ অবমাননা করে দখল নিতে চাইছে।

৩।  আমার এবং আমার মেয়ের পরিচিত মহলে আমাদের চরিত্র নিয়ে জঘন্য কুৎসা রটিয়ে আস…

৪।  মিডিয়াতে নাটক করে আমার মানহানি করছে।

৫।  তারা চরম মিথ্যা বলে বেড়াচ্ছে যে আমি নাকি শিশির শাহনওয়াজ সাহেবের মাকে মারধোর করে উত্তরার বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি।

৬।  আদালতে চলমান মামলা নিয়ে জনসমক্ষে বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছে যা আদালত অবমাননার শামিল।

বাড়ি নিয়ে বিরোধের বিপক্ষদের ই-মেইল

অতএব, বাড়ি নিয়ে বিরোধ থাকায় বিপক্ষরা সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে দিয়ে একাজ করিয়ে থাকতে পারে। এছাড়া তার তো কোনো অপরাধের কথা শুনিনি। একবার একটা কথা শুনেছিলাম, তিনি নাকি উৎকোচের বিনিময়ে কোন যুদ্ধপরাধীকে বিশেষ সুবিধা দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেজন্যে তাকে ট্রাইবুনাল থেকে বাদ দেয়া হয়। এছড়া অন্য কোনো অপরাধের কথা শোনা যায়নি। তাহলে কেনো তাকে গ্রেফতার করা হলো?

সরকারপক্ষে কিংবা যে কারো বা কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষের আইনজীবী থাকা যদি অপরাধের হয়, তাহলে যুদ্ধপরাধীদের আইনজীবী হওয়ার কারণে জনাব তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারতো তৎকালিন সরকার। জানিনা। বর্তমানে আইন ও ন্যায়বিচার যেহেতু কারাগারে, সেহেতু কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে ‘হেতু’ লাগে না!!





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url