জাতিসংঘ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হুমকি দিয়েছিলো ০৫ আগষ্ট বিক্ষোভকারীদের বিরূদ্ধে গেলে শান্তি মিশন থেকে বাদ দেয়া হবে

 
ছবিঃ ভিডিও থেকে


জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের কার্যালয় মার্কিন ডিপ স্টেট মেশিনের একটি অংশ। বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের হার্ডটক অনুষ্ঠানে ফলকার টুর্ক এ কথা প্রমাণ করে দিলেন। বুধবার (৬ মার্চ) বিবিসির ওয়েবসাইটে হার্ডটক অনুষ্ঠানের এই পর্ব প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে টুর্কের সঙ্গে কথা বলেন বিবিসির উপস্থাপক স্টিফেন সাকার।

 

ফলকার টুর্ক বলেন, "আমি আপনাকে একটা উদাহরণ দিচ্ছি, যেখানে আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছিল। আমি গত বছরের বাংলাদেশের উদাহরণ দিচ্ছি। আপনি জানেন জুলাই-আগস্টে সেখানে ছাত্রদের ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।

বাংলাদেশে তখন ছাত্রদের আন্দোলন দমনে ব্যাপক নিপীড়ন চলছিল এবং তাদের জন্য বড় আশার জায়গা ছিল আসলে আমরা কী বলি, আমি কী বলি, আমরা কী করতে পারি এবং আমরা ওই পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করি।“

 

“আমরা প্রকৃতপক্ষে সেনাবাহিনীকে হুমকি দেই– যদি তারা এতে জড়িত হয়, তার অর্থ দাঁড়াবে তারা হয়ত আর শান্তিরক্ষী পাঠানোর দেশ হিসাবে থাকতে পারবে না। এর ফলে আমরা পরিবর্তন দেখলাম।“

 

ফলকার টুর্ক বলেন, “ড. ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিলেন, তিনি আমাকে বললেন, আপনি কি একটি তথ্যানুসন্ধানী দল পাঠাতে পারেন, পরিস্থিতি তুলে ধরার ওপর গুরুত্ব দিতে পারেন এবং সেখানে যা ঘটেছে, তা তদন্ত করতে বললেন। আমরা এগুলোই করেছিলাম এবং এটা কার্যত সাহায্য করেছিল।“

 

তিনি আরও বলেন, “আমি গত বছর বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। আমরা একটি অবস্থান নেয়ায়, আমরা কথা বলায় এবং তাদেরকে সহযোগিতা করায় ছাত্ররা আমাদের প্রতি খুব কৃতজ্ঞ ছিল।“

 

এই স্বীকারোক্তির মাধ্যমে প্রমাণ হল যে জাতিসংঘ সরাসরী জড়িত ছিল মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের রেজিম চেঞ্জ অপারেশনে। শুধু তাই নয়, আমি আগে যেটি দাবী করেছি, একটি গৃহযুদ্ধ উন্মুখ পরিস্থিতিতে যখন ঘৃণা ছড়িয়ে, মিথ্যা দায় দিয়ে, সিআইএ এবং ইউএসএআইডির এবং এনইডির অর্থায়নে যখন একটি মার্কিনপন্থী গোষ্ঠী দাঙ্গা বাধাতে চাইছে, হাজার হাজার আওয়ামী নেতা সমর্থককে মব গঠন করে হত্যা করতে চাইছে, ঠিক তখনই তদন্তের নামে একটি অনুমান ভিত্তিক রিপোর্ট প্রকাশ করে জাতিসংঘ একটি গণহত্য ঘটাতে উষ্কানি দিয়েছে যেটি আন্তর্জাতিক জেনোসাইড আইনে ফৌজদারী অপরাধ।

 

ফলকার টুর্ক এর সাক্ষাৎকারের অডিও রেকর্ডঃ

 


লিখেছেনঃ @Sirajul Hossain

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url