৫ আগস্টের অভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে সশস্ত্র আন্দোলন হতো!
![]() |
প্রতীকী ছবি |
৫ অগাস্টের অভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে তারা সশস্ত্র আন্দোলন করত এটা যারা বলছেন তারা পুরো পরিকল্পনা জানেন না। ঐদিন শেখ হাসিনাকে হত্যা করে তারা সারা শহরে তার লাশ টেনে নিয়ে বেড়াত। এতে শেখ হাসিনার ভক্তরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে এলে সারা দেশে তারা সশস্ত্র আওয়ামী নিধনে নেমে পড়ত। ভারতের হস্তক্ষেপে শেখ হাসিনাকে নিরাপদে নিয়ে যাওয়াতে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।
এই ধরণের সন্ত্রাসী রেজিম চেঞ্জ বা সরকার পরিবর্তনে যতগুলো দল বা স্টেকহোল্ডার জড়িত থাকে, তাদের প্রত্যেকের কাছে সীমাবদ্ধ বা আংশিক তথ্য থাকে এবং তারা নিজেরা শুধুমাত্র সেই আংশিক তথ্যের ভিত্তিতেই ভাড়াটে সৈন্যের মত নির্দিষ্ট সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে থাকে। মূল পরিকল্পনা করে বিদেশে অবস্থিত কোন গোয়েন্দা দফতর এবং তাদের যোগসাজসে দেশের সশস্ত্র এক বা একাধিক রাষ্ট্রীয় এজেন্সির অংশ।
ভারতের বিজেপি সরকার ও মোদির সাথে শেখ হাসিনার সম্পর্ক খুব একটা গভীর ছিল না। শেখ হাসিনার সরকারের উপর গোয়েন্দা নজর ও নিয়ন্ত্রণ কোনটাই মোদি সরকারের সময় তেমন একটা ছিল না। এর কারণ দেশের স্বার্থের প্রশ্নে হাসিনা ভারতকে কোন ছাড় দিতেন না। আমেরিকা, চীন ও ভারত তিন বৃহৎ শক্তির প্রতিটিকেই তিনি অপর দুজনের সাথে দেন দরবারের বিষয় নিয়ে চাপের মুখে রাখতেন। শেখ হাসিনার ভরসা ছিল তার নিজের সশস্ত্র বাহিনী।
৫
অগাস্টের সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে হত্যা করতে সমর্থ হলে সম্পূর্ণ ভিন্ন চেহারার এক
সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ভব ঘটত। এতদিনে বাংলাদেশ ইউক্রেন সিরিয়ার মত দেশে পরিণত হত।
ভারতীয়রা এটা জানত। তাই তারা শেখ হাসিনাকে নিরাপত্তা দিতে ও ভারতে পাঠিয়ে দিতে
বাধ্য করেছে। ভারত সেটা করেছে নিজেদের স্বার্থে, নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই। ঠিক
যেমন ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের সময় তারা প্যারাট্রুপার সহ স্ট্রাইকিং ফোর্স
রেডি রেখেছিল। বিডিআর সেনা লড়াই শুরু হলেই তারা ঝটিকা অপারেশন চালাত। এই কারনেই সম্ভবত
সেনা কর্মকর্তা বলেছেন "ইউ পিপল নো নাথিং"।
- সিরাজুল হোসেন (Sirajul Hossain)
![]() |
Sirajul Hossain |