পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ মোনাফেক জাতি মুসলমানরা!
ছবিঃ প্রতীকী |
পৃথিবীতে
শ্রেষ্ঠ মোনাফেক জাতি মুসলমানেরা! ভয়ংকর এই জাতি! যাদের মধ্যে নাই কোনো সম্প্রীতি!
নাই কোনো কথার সাথে কাজের মিল!!
মুখে শুধু আছে :-- সুবাহানআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহ খায়রান আর কাজের বেলায় শুধু মিথ্যাচার ও চরম স্বার্থবাদীতা! এই জাতি কিভাবে উদ্ধার পাবে!!
পৃথিবীতে
দুইশত কোটি মুসলমানের বিরুদ্ধে মাত্র এককোটি ইহুদি ছড়ি ঘুড়াচ্ছে আর আমরা জায়নামাজে
বসে বসে দোয়া পড়ছি আর তসবীহ গুনে অপেক্ষা করছি, কবে আবাবিল পাখি এবং ইমাম মেহেদী ও
ঈসা (আঃ) আসবে!!
মনে রাখবেন কষ্মিনকালেও ইমাম মেহেদী ও ঈসা (আঃ) আরা আবাবিল পাখি আসবে না। কারণ কোরআন কখনো এসব কথা বলে না! কোরআন পরিপূর্ণ ও বিস্তারিত।
পৃথিবীর
মোড়লেরা আমাদের চোখের সামনে মূলা ঝুলিয়ে রেখেছে, যেন আমরা কোনো রকম জ্ঞান,
বিজ্ঞান, প্রযুক্তিতে এগিয়ে যেতে না পারি! আমরা নেতৃত্ব দিতে না পারি! অথচ এটা
বোঝার ক্ষমতা আমাদের নাই!!
তাই
সুদীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ হিসাবে, বিশ্ব মোড়লেরা আমদের ছওয়াবের নামে, জান্নাত পাওয়ার
আশায়, এই মাদ্রাসা গুলো প্রতিষ্ঠা করে গেছে। আর আমরা মুর্খ জাতি কিছু না বুঝে, তাই
পালন করে যাচ্ছি!
কখনো ভাবিনি যে, নবীজীর যুগে তো কোনো মাদ্রাসা ছিল না! এতো ভুরি ভুরি, টাইটেল ধারী আলেম মওলানা, মুফতি ছিল না! তবুও সে সময় মুসলমানেরা পৃথিবীর অর্ধেক দেশ শাসন করছে।
এই মুর্খ জাতি নবীর দাড়ি, টুপি, জুব্বা, টাকনুর উপর পায়জামা, খেজুর, লাউ, কালোজিরা, মধু খাওয়ার সুন্নাহ গ্রহন করলো, অথচ নবীজী যে সারাজীবন পৃথিবীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য সংগ্রাম করে গেলেন, জীবন বিলিয়ে দিয়ে গেলেন, সে সুন্নাহ কেউ গ্রহন করলো না!
এই জাতির চোখ কোনদিন আর খুলবে না। তাই আল্লাহর রহমত আর বরকতের আশা ছেড়ে দিয়ে, ধ্বংসের জন্য অপেক্ষা করুন, যেমন ধ্বংস হয়ে গেছে ইরাক, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, সিরিয়াসহ পৃথিবীর অনান্য মুসলিম দেশ গুলো!
সেজন্যেই
মওলানা জালালুদ্দিন রুমী (রঃ) বলে গেছন, “ আমি কোরআনের মগজ তুলে নিয়ে ‘মসনবী শরীফ’
রচনা করে গেলাম। বাকি হাড্ডি গুলো রেখে দিলাম যা নিয়ে আলেম নামের কুকুরেরা
দৌড়াদৌড়ি করবে”।
আল্লাহ আমাদের সঠিক ও সত্য উপলব্ধি করার তৌফিক দান করুন।
লেখাঃ সংগৃহীত
ও সম্পাদিত