USAID - একটি সন্ত্রাসী সংগঠন
ইউএসেয়াইডি'র মনোগ্রাম (ইন্টারনেট থেকে) |
USAID (United State Agency for International Development) একটি সন্ত্রাসী সংগঠন – বলেছেন বিশ্বের এক নম্বর ধনী, প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার সহযাত্রী ও বর্তমান সময়ের অত্যাধিক আলোচিত নাম
ইলন মাস্ক। কয়দিন আগে রাশিয়াও একথা বলেছে।
এই USAID আইআরআই (International Republican Institute)কে অর্থায়ন
করে। এইআরআই (IRI) হলো সেই সংস্থা যারা বিশ্বব্যাপী আমেরিকার কথা না শোনা সরকার উৎখাতে
অর্থ সাহায্যের নামে গোপনে সক্রিয় থাকে। মার্কিন ডিপ ষ্টেটও ওই একই কাজ করে। এই ষঢ়যন্ত্রের
কারণেই বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রাক্তন কর্মকর্তা মাইক
বেঞ্জ সাংবাদিক টকার কার্লসনের সাথে সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
সামরিক ঘাঁটি স্থাপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অস্বীকৃতি এবং ফলশ্রুতিতে শেখ হাসিনা
সরকার উৎখাত নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। তাঁর বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা ছিলো বাংলাদেশে একটি 'সামরিক ঘাঁটি'
নির্মাণ। ভবিষ্যতে চীনকে প্রতিরোধে এই রিজিওনে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ তাদের জন্য অত্যাবশ্যক।
শেখ হাসিনা তাদের ঐ প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না। যার জন্য ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সে চেষ্টা ব্যর্থ
হয়।
শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাতের সুদীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শেষ পর্যন্ত
USAID সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশের বেশকিছু সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ফেইসবুকার,
ইউটিউবার, র্যাপার এবং বিগত দিনে বিভিন্ন বিষয়ে আন্দোলন করা ব্যক্তিদের টার্গেট করা
হয়। USAID-এর মাধ্যমে তাদের পেছনে ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করা হয়। যার ফলাফল ০৫ আগস্ট
২০২৪ তারিখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার উৎখাত।
কোটা আন্দোলনের মুখোশে সরকার পতনের চক্রান্ত কিভাবে বাস্তবায়ন করেছে
সেটা পরিস্কার বলে দিয়েছে মাইক বেঞ্জ। কোন ফান্ড থেকে কোন সংস্থার মাধ্যমে অর্থ দেয়া
হয়েছে। রাজনীতিক, বেসরকারী সংগঠন/সংস্থা, প্রশাসন, টকশো আলোচক, ফেসবুক/ইউটিউবার, সাংবাদিক,
সাংস্কৃতিক ব্যক্তি ও সংগঠন, এমনকি কাকে দিয়ে কোন গানটা গাওয়ানো হয়েছে তা'ও উল্লেখ
করেছে। গোটা বিশ্বের কাছেই বিষয়টা এখন পরিস্কার।
ডিপ স্টেট ফান্ডিংয়ে রেজিম চেঞ্জ ও র্যাপারদের ভূমিকা
সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা মাইক বেঞ্জের টুইট থেকে জানা যায়, USAID
সরাসরি IRI (International Republican Institute)-কে অর্থায়ন করে, যার লক্ষ্য ছিল
নির্দিষ্ট দেশে সরকার পতনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা।
IRI কীভাবে কাজ করেঃ
এই সংস্থাটি বিভিন্ন র্যাপারদের প্রশিক্ষণ দেয়, যাতে তারা এমন গান
তৈরি করতে পারে, যা জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ উসকে দেয় এবং সরকারবিরোধী মনোভাব গড়ে
তোলে। এর অন্যতম উদাহরণ তৌফিক আহমেদ (রাজত্ব), যার গান "এ দায় কার?" ব্যাপক
আলোচনার জন্ম দেয়।
আন্দোলনের সময় র্যাপারদের ভূমিকা:
বিক্ষোভ চলাকালে বেশ কয়েকটি র্যাপার গ্রুপ আন্দোলনের পক্ষে গান তৈরি
করে, যা তাদের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার ভূমিকার কারণে ব্যাপক সাড়া ফেলে। পরবর্তীতে সরকার
পরিবর্তনের পর র্যাপারদের কিছু নাম বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যেন
তারা আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়। এই তথ্যগুলো কতোটা ভয়ংকর ভাবা যায়?
➡ ব্যবহৃত হয়েছে:
✅ ১৭০ জন কথিত
প্রো-ডেমোক্রেট এক্টিভিস্ট
✅ ৩০৪ জন সোশ্যাল
মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার
✅ এলজিবিটি গ্রুপ
ও সাংস্কৃতিক কর্মী
✅ উগ্র মৌলবাদী
সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট
✅ জঙ্গি ও সন্ত্রাসী
সংগঠন
ফাঁস হওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রে জোন ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনেও হুবহু
একই তথ্য জানা যায়।
বিদেশি অর্থায়নে কীভাবে সাংস্কৃতিক মাধ্যম ব্যবহার করে সরকার উৎখাতের
চেষ্টা চালানো হয় এবং তার মাধ্যমে একটি দেশ অরাজকতা ও মব লিডারদের দখলে চলে যায় তা
আমাদের গভীরভাবে ভাবতে হবে!
মাইক বেঞ্জের সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি দেখুনঃ