তুলসি গ্যাবার্ড আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরবর্তী পরিচালক হিসেবে সিনেট কমিটির ভোটে উত্তীর্ণ

 

Tulsi Gabbard


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব রাজনীতিতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের নানা কুটকৌশলের জন্য সমালোচিত হলেও এটা অনস্বীকার্য যে, যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বে এক নম্বর গণতান্ত্রিক দেশ। দুয়েকটা চক্রান্ত বা ভোট বেচাকেনা যে হয় না, তা বলা যাবে না। তবে তাদের নির্বাচনের সিস্টেমটি প্রশংসনীয়।


প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হয়ে যেসব গুরুত্বপূর্ণ পদে মনোনয়ন দিয়েছিলেন যেমন, জাতীয় নিরাপত্তা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড, এফবিআই পরিচালক কাশ পাটেল, এদের সবাইকে সিনেট কমিটির অনুমোদন লাভের পরই চূড়ান্ত হবে তাদের মনোনয়ন। এদের মধ্যে কাশ পাটেল ভারতীয় বংশদ্ভুত এবং তুলসি গ্যাবার্ড হিন্দু ধর্ম ও ইস্কনের অনুসারী। ফলে তাদেরকে কঠিন পরীক্ষার সন্মুখিন হতে হয়। এখানে আলোচনা করবো তুলসি গ্যাবার্ডকে নিয়ে।



মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি তুলসি গ্যাবার্ড ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স (DNI) এর পরবর্তী ডিরেক্টর হওয়ার জন্য তার মনোনয়নের জন্য 'সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটি'র ভোটে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। তার মনোনয়ন ঠেকাতে দেশ বিদেশে নানা ষঢ়যন্ত্র হয়। সর্বশেষ সিনেট কমিটির ১৭ সদস্যের মধ্যে ৯-৮ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। এতে সিনেটে চূড়ান্ত অনুমোদনের পথ পরিস্কার হলো।


সিনেটর টড ইয়ং (আর-ইন্ড), একটি মূল সুইং ভোট, তিনি গ্যাবার্ডকে সমর্থন করার ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এক্স-এ একাধিক পোস্টের মাধ্যমে ইয়ং তার মনোনয়নকে সমর্থন করে বলেছেন, "আমাদের গোয়েন্দা পেশাদারদের সমর্থন করা হবে এবং তার নেতৃত্বে নীতিনির্ধারকরা নিরপেক্ষ তথ্য পাবেন তা নিশ্চিত করার জন্য আমি বিভিন্ন বিষয়ে আমার সাথে তুলসি গ্যাবার্ডের সম্পৃক্ততার প্রশংসা করি।"


সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ার পারসন টম কটন (আর-আর্ক।) রুদ্ধদ্বার ভোটের পর বলেছেন, "গোয়েন্দা কমিটি এইমাত্র তুলসি গ্যাবার্ডের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে মনোনীত হওয়ার পক্ষে পূর্ণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের পক্ষে ভোট দিয়েছে। আমরা তার মনোনয়ন নিশ্চিতকরণ এবং আমেরিকাকে সুরক্ষিত রাখতে তার সাথে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।"

সূত্রঃ দ্য ইকোনোমিক টাইমস


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url