মাউন্ট এভারেষ্টের চেয়ে ১০০ গুণ বড় পর্বতমালা আবিস্কার

 
প্রতীকী ছবি

বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিসেবে মাউন্ট এভারেস্টের নাম সকলেরই জানা। কিন্তু কল্পনা করুন, যদি এভারেস্টের চেয়ে ১০০ গুণ বড় কোনো পর্বতমালা আবিষ্কার হয়! এটি নিঃসন্দেহে ভূতত্ত্ববিদ, অভিযাত্রী এবং সাধারণ মানুষের জন্য এক বিস্ময়কর ঘটনা।

সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা ভূপৃষ্ঠের নিচে এমন দুটি বিশাল পর্বতের সন্ধান পেয়েছেন, যেগুলো মাউন্ট এভারেস্টের তুলনায় প্রায় ১০০ গুণ উঁচু। এর অবস্থান পৃথিবীর এক অজানা ভূখণ্ডে বা হয়তো গভীর সমুদ্রের নিচে। ধারণা করা হচ্ছে, পর্বত দুটি আফ্রিকা ও প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে রয়েছে। আধুনিক স্যাটেলাইট চিত্র এবং ভূতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই পর্বতমালার অস্তিত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।

 

এই পর্বতমালা কেবল উচ্চতাতেই নয়, বিস্তৃতিতেও অসাধারণ। গবেষণায় জানা গেছে, এই পর্বত দুটির উচ্চতা প্রায় এক হাজার কিলোমিটার, যেখানে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৮ দশমিক ৮ কিলোমিটার।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই পর্বতগুলোর বয়স প্রায় ৫০ কোটি বছর। গবেষক আরওয়েন ডিউস জানিয়েছেন, "কেউ আসলে জানে না এগুলো কী। তবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই বিশাল কাঠামোগুলো পৃথিবীর কেন্দ্র ও ম্যান্টেলের মধ্যে অবস্থান করছে এবং একটি টেকটোনিক প্লেট অন্য প্লেটের নিচে ঢুকে যাওয়ার কারণে পর্বত দুটি তৈরি হয়েছে।"

বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক আগেই ভূমিকম্পের শকওয়েভ বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের নিচে বিশাল কাঠামোর উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন।

গবেষণা অনুযায়ী, এই কাঠামোগুলো আশেপাশের টেকটোনিক প্লেটের তুলনায় বেশি গরম। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আমাদের ভূপৃষ্ঠের নিচের বিশাল অংশ এখনো উত্তপ্ত ও গলিত অবস্থায় রয়েছে এবং ধীরে ধীরে ঠান্ডা হচ্ছে, ফলে ভবিষ্যতে আরও কঠিন কাঠামো তৈরি হতে পারে।

নতুন সন্ধান পাওয়া এই পর্বতগুলো ভূতাত্ত্বিক গঠন এবং টেকটোনিক প্লেটের গতিবিধি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে সাহায্য করবে বলে আশা করছেন গবেষকরা। ভবিষ্যতে এখানে গবেষণামূলক অভিযান পরিচালিত হলে হয়তো নতুন আবিষ্কারের দুয়ার খুলবে।

মাউন্ট এভারেস্টের চেয়ে ১০০ গুণ বড় পর্বতমালার আবিষ্কার নিঃসন্দেহে এক বৈজ্ঞানিক বিস্ময়। এটি শুধু ভূতাত্ত্বিক গবেষণার ক্ষেত্রেই নয়, পরিবেশ ও অভিযানের দৃষ্টিকোণ থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে এই পর্বতমালার ওপর আরও গবেষণা চালিয়ে হয়তো আমরা পৃথিবীর অতল গহীন রহস্যের আরও কিছুটা উন্মোচন করতে পারবো।

সূত্রঃ ইন্টারনেট


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url