ট্রাম্পের প্রশ্নোত্তর পর্বের পোষ্টমর্টেম
আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দমোদর মোদি। তারিখঃ ১৩-০২-২০২৫ |
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ভারতের প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার মধ্যে অনুষ্ঠিত
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্বে ভারতীয় এক সাংবাদিক মোদি ও ট্রাম্পকে ভিন্ন
ভিন্ন প্রশ্ন করেন। মোদিকে প্রশ্ন করার সময় সাংবাদিক হিন্দি ভাষায় করেন এবং ট্রাম্পকে
প্রশ্ন করেন স্বাভাবিকভাবেই ইংরেজিতে। এতে প্রথমে উত্তর দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রাম্পের
এই উত্তর নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। নানাজনের নানারূপ ভাষান্তর, ব্যাখ্যা করছে।
আমি যদিও ইয়েস, নো, ভেরি গুড টাইপের
ইংরেজি ছাড়া বেশি কিছু জানি না, আবার ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, পাকিস্তানের উচ্চারণ
যদিও একটু আধটু বুঝি, পশ্চিমা উচ্চারণ সহজে কানে ঢোকে না। তবুও এই প্রশ্নোত্তর থেকে
আমার সাধারণ জ্ঞানে যতোটুকু বুঝেছি তা আমার মতো করে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি।
Ques: Mr President, what you would like to say
about the Bangladesh issue, because we saw and it is evident that how the ‘Deep
State’ of United States was involved to regime change during the Biden
administration. Then Mohammed Yunus meet Junior Soros also. So what is your
point of view about the Bangladesh and what is the role that the Deep State
played in the situation in Bangladesh?
“মিস্টার প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ইস্যু
নিয়ে আপনি কী বলতে চান, কারণ আমরা দেখেছি এবং এটা স্পষ্ট যে বাইডেন প্রশাসনের সময়
শাসক পরিবর্তনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপ ষ্টেট’ কীভাবে জড়িত ছিল। তারপর মুহাম্মদ ইউনূস জুনিয়র সরোসের সাথেও দেখা করেন। তাহলে বাংলাদেশ
সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে ডিপ স্টেট কী ভূমিকা পালন
করেছে?”
Ans: Well, there was no role for our deep state. It
was. This is something that the prime minister has been working on for a long
time and has been worked on for hundreds of years. Frankly, I've been reading
about it. But I will leave
Bangladesh to the Prime Minister.
“আচ্ছা, আমাদের ডিপ স্টেটের কোনও ভূমিকা
ছিল না। এটা ছিল। এটি এমন একটি বিষয় যা প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) দীর্ঘদিন ধরে
কাজ করে আসছেন এবং শত শত বছর ধরে এটির উপর কাজ করা হচ্ছে। সত্যি বলতে, আমি এটি সম্পর্কে
পড়ছি। কিন্তু আমি বাংলাদেশকে (মোদির দিকে ইশারা করে) প্রধানমন্ত্রীর উপর ছেড়ে দেব।“
আমার আলোচ্য বিষয় শেষের এই লাইনটা
নিয়ে। এখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন, ‘এটি আমি প্রধানমন্ত্রীর
(মোদি) উপর ছেড়ে দেবো’। দিলাম বলেননি। মোদি এ ব্যাপারে কিছু না বলে তাকে করা সাংবাদিকের
প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। আর এখানেই গন্ডগোল!
তবে আমার কাছে মনে হয়েছে, বিষয়টা নিয়ে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিব পর্যায়ে আগে থেকেই আলোচনা হয়ে আসছে। ট্রাম্প-মোদিও যে অনানুষ্ঠানিক
আলোচনা করেননি তা নয়। সিদ্ধান্ত যা নেয়ার আগেই নেয়া হয়েছে, তাই সাংবাদিকের প্রশ্নের
উত্তরে সেটাই বোঝালেন যে, ‘এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করছেন। বিষয়টি
তার উপরেই ছেড়ে দেবো’। এতেই বোঝা যায়, মোদি যা করবেন তাতে ট্রাম্পের সমর্থন থাকবে।
“আকেলমন্দ কে লিয়ে ইশারাই কাফী হ্যেয়”।
কিন্তু প্রেসিডেন্টের মুখভঙ্গি ও অঙ্গ
ইশারায় মনে হচ্ছিলো, মোদি এ ব্যাপারে কিছু বলেন কিনা তা শুনতে চাইছিলেন। কিন্তু মোদি
হয়তো ধরে নিয়েছিলন যে, এ ব্যাপারে আমাদের মাধ্যে যা কথা হয়েছে বা হবে, সেই মোতাবেক
কাজ করতে হবে। তাই এ ব্যাপারে আর কিছু বলার প্রয়োজন মনে করেননি বা বিশ্ব প্রচার মাধ্যমে
বেশি কিছু বলতে চাননি।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, বাংলাদেশের
ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার নরেন্দ্র মোদি কে? উত্তর হতে পারে দুই প্রকারঃ
(১) “গরীবের বৌ সবার ভাবী।“
(২) পাশের বাড়ি আগুণ লাগলে নিজেরও
ভয় থাকে। সেজন্যে আগুণ নেভাতে প্রতিবেশিকে সাহায্য করাটাই স্বাভাবিক।