সক্রেটিস কেনো দুই বিয়ে করেছিলেন?
দার্শনিক সক্রেটিস |
"যদি তুমি ভালো বউ পাও, তাহলে তুমি সুখি হবে, আর না পেলে তুমি
দার্শনিক হবে"
বিশ্ববিখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিস
করেছিলেন দুই বিয়ে। প্রথম স্ত্রী জ্যানথিপি সুন্দরী ছিলেন বটে, কিন্তু মুখে ছিলো
বিষ, আর চোখে আগুন। সক্রেটিসের ঘরে ঝগড়া লেগেই থাকতো।
সারাদিন
জ্ঞান বিলোয় লোকটা। বিনিময়ে একটি কড়িও নেন না। কোনো আয় উপার্জন নেই। ঘরে তিন
সন্তান, এক স্ত্রী। এর উপর দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন মির্টো নামের এক মেয়েকে! বাপের
কিছু সম্পদ আছে তার। একে বাড়াবে দূরে থাক, গরীবদের বিলিয়েই শেষ করে চলছেন।
কতো আর সহ্য করবেন জ্যানথিপি?
একরাতে ঘরে নেই খাবার, ছেলে-মেয়ে কেঁদেকেটে ঘুমিয়েছে। সক্রেটিস ঘরে বসে ধ্যান করছেন। জ্যানথিপির সহ্য হলো না। শুরু করলেন বকাঝকা। যেই সেই বকা নয়, ভয়াবহ কিছু! সক্রেটিস নীরবে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। বাইরে এসে চাঁদের আলোয় শুরু করলেন বইপড়া!
জ্যানথিপি
এটা দেখে তো আরো আগুন! করলেন কী? ঘরে সারা দিনের জমানো ময়লা পানি ছিলো এক গামলায়।
সেই গামলার পানি ঢেলে দিলেন সক্রেটিসের উপর!
সক্রেটিস
রাগ করলেন না। বরং হেসে বললেন- এতো গুরুগম্ভীর মেঘের গর্জনের পরে এক পশলা বৃষ্টি
না হলে কি আর শোভা পায়?!
গ্রীষ্ম
হোক আর শীত হোক, সক্রেটিসের গায়ে থাকতো একটাই কোট। সব ঋতুতে এটাই পরতেন। অন্য কোনো
জামা ছিলো না তার। পায়ে ছিলো না কোনো জুতা। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘সুখের সুযোগ
ত্যাগ করে এতো কষ্টের জীবন কেন বেছে নিলেন’?
সক্রেটিস
বললেন, ‘এটা বেছে নিলাম, যাতে লোভের কুকুরগুলো বোঝে- সত্য, জ্ঞান ও স্বাধীনতা এমন এক
সুখ, যাকে ক্রয় করতে হয় কষ্ট ও কৃচ্ছ্রতার বিনিময়ে!
সেখান থেকেই আমরা পাই তাঁর বিখ্যাত উক্তিঃ
"যদি তুমি ভালো বউ পাও, তাহলে তুমি সুখি হবে, আর না পেলে তুমি
দার্শনিক হবে"
(সংগৃহীত)