নামাজের স্থান প্রসঙ্গে

 

ঢাকার বনশ্রীতে রাস্তায় নামাজ আদায়

ঢাকা শহরে আমি যে এলাকায় থাকি সে এলাকায় ৫০-১০০ মিটার দূরত্বের মধ্যেই মসজিদ। সব এলাকায় হয়তো এতো কাছে কাছে মসজিদ নাই। তবে মিজানুর রহমান আযহারী যেখানে রাস্তায় নামাজ পড়লেন - গুগল ঘেঁটে দেখলাম, জায়গাটা বনশ্রী জি ব্লকের ৬ নং রোড। 


ঘনবসতিপূর্ণ বনশ্রীর সম্পূর্ণ এলাকা আমি ঘুরেছি, তাই জানি। তিনি যেখানে নামাজ পড়েছেন তার কাছেই বিলাসবহুল(!) মসজিদ আছে।


অবশ্য হাদীসে আছে, নবীজী বলেছেন - "যেখানে নামাজের ওয়াক্ত হবে সেখানেই নামাজ আদায় করো"। নবীজী ছাগলের খোয়াড়েও নামাজ আদায় করেছেন।


কিন্তু কথা হলো, নবিজীর সময়ে এতো নিকটে নিকটে মসজিদ ছিলো না। এখন তো সে প্রতিকূল অবস্থা নাই। এখন সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে মসজিদ পাওয়া যায়। 


নবিজীর সমুর মাইকে আযান হতো না, এখন হয়। সেটা যদি বিধিসম্মত হয়, তাহলে বর্তমান সময়ে এসে নামাজ কেনো যেখানে সেখানে পড়তে হবে? চরাঞ্চলে বা দুর্গম অঞ্চলের কথা আলাদা।


আমি এক সময় এক পরহেজগার লোকের সংস্পর্শে ছিলাম। ঢাকা শহরে কোথায় কোথায় মসজিদ আছে তা তার মুখস্থ। তার ড্রাইভারেরও মুখস্থ। তার সাথে চলে দেখেছি নামাজের ওয়াক্ত হলে তিনি নিকটস্থ মসজিদের পাশে গাড়ি থামাতে বলেন। নামাজ পড়েন। আবার চলা শুরু করেন। 


তার সাথেই নামাজ পড়েছি অভিজাত এলাকা গুলশানের কেন্দ্রীয় মসজিদ, ঢাকা এয়ার বেজ মসজিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশের মসজিদ সহ ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশের কয়েকটি মসজিদে।


মিজানুর রহমান আযহারীর এ দৃশ্য দেখে অনেকেই মনে করছে, এটা লোক দেখানো। আবার বিল্ডিংয়ের উপর থেকে না কোথা থেকে যেন এক পাগল মেয়ে ভক্ত বলছে, "হুজুর এদিকে একটু তাকান"! মসজিদ হলে তো আর এই শব্দ শোনা যেতো না।




আল্লাহ আমাদের সঠিক জ্ঞান দান করুন। আমীন 



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url