জীবন যোদ্ধার রোজনামচা: রাষ্ট্র ও সমাজ নিয়ে সাম্প্রতিক ভাবনা
ছবি গুগল থেকে সংগৃহীত |
এমন এক আজব সরকার চলছে দেশে যাদের কয়েকজন সমন্বয়ক ছাড়া জনসম্পৃক্ততা নেই, নেই কারো কাছে কোনো জবাবদিহিতা। তবুও এরা বলে, তারা জনগণের সমর্থন নিয়ে সবকিছু করছে।
তারা সংবিধান বাতিল করছে! আরো কতকিছু সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া এগুলোর যে এক পয়সা দাম নেই তা তারা গ্রাহ্যই করছে না। সংসদে পাশ না হলে যেসব কমিশন গঠন করে তাদের ভাতা দেয়া সহ নানান খরচ হচ্ছে সে টাকাগুলোই মাটি।
জনগণের কাছে জবাবদিহিতার মাধ্যম সংসদের ৩৫০ জন সংসদ সদস্য নাই, মন্ত্রী পরিষদ নাই। ৬৪ জেলায় জেলা পরিষদ নাই। ৪৯৫ টি উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নাই। ৪৫৭৮ টি ইউনিয়ন পরিষদ নিষ্ক্রিয় প্রায়। বেশিরভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ পন্থী হওয়ায় তাদের বড় একটি অংশ মামলা হামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। যাও টুকটাক চলছে, একেবারে ঢিমে তালে।
আচ্ছা, এতগুলো মন্ত্রী, এমপি, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদের সদস্যদের ভাতার টাকাগুলো তো বেঁচে যাচ্ছে। তাহলে আবার ৪২ হাজার কোটি টাকা বাজেট ঘাটতি হয় কিভাবে? ট্যাক্স আদায় হয় নাই, ওইসব বাজেটের টাকা স্থানান্তর করেই তো ঘাটতি মেটানো যায়। সেজন্যে আলাদা ভ্যাট বাড়াতে হচ্ছে কেনো?
দেশের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমও তো সেভাবে চলছে না। জুলাই আন্দোলনে ঢাকার রাস্তার আইল্যান্ডের উপরে লোহার এঙ্গেল দিয়ে নির্মিত যেসব পার্টিশন ভাঙ্গা হয়েছিলো তা আজ পর্যন্ত মেরামত করা হয়নি। লোকজন ঝুঁকি নিয়ে যত্রতত্র ইচ্ছেমত আইল্যান্ড ডিঙিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে। এঙ্গেল ভাঙতে গিয়ে অনেক জায়গায় রাস্তা ভাঙ্গা পড়েছিলো সেসব জায়গা দিয়ে রিকশা পর্যন্ত পার হচ্ছে। একটা বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা!
অনেক বড় বড় প্রজেক্ট বাতিল করা হয়েছে বা স্থগিত করা হয়েছে। তাহলে বাজেট ঘাটতি পড়ছে কেনো?
দেশে খুন-খারাবি, ছিনতাই-চাঁদাবাজি, চুরি-ডাকাতি এহেন অপরাধমূলক কাজ নাই যা ঘটছে না। যে হারে অপরাধ বেড়েছে তা এ যাবৎকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। সেসব নিয়ন্ত্রণের কোনো চিন্তাভাবনা নাই। ভাবটা দেখে মনেহয়, "উসমে কেয়া হায়। মারো টেক্কা, খেলো দান।"
ছোটো মাথায় অতোকিছু আসে না। এমনিতেই ডাক্তার বলেছে, আপনার ব্রেন ড্যামেজ! শুধু কবি শামসুর রাহমানের ভাষায় বলতে পারি, "উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ"।
যাউকগা, যা অহে ওউকগা!!
বি: দ্র: "অহে" ঢাকাইয়া কুট্টিদের ভাষা। যার অর্থ "হয়"।