অমর্ত্য সেন ও নবনীতা দেবসেন দম্পতি

 

ছবিঃ সংগৃহীত


পৃথিবীর আর এমন কোনও দম্পতি আছেন কিনা জানি না, যাঁদের দু'জনেরই নামকরণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর করেছিলেন।

অমর্ত্য সেন ও নবনীতা দেবসেন।

প্রথমজনের জন্ম ৩ নভেম্বর ১৯৩৩ আর দ্বিতীয়জনের জন্ম ১৩ জানুয়ারি ১৯৩৮।

রসিকই ছিলেন রবীন্দ্রনাথ! নইলে তিনদিনের মেয়েকে কল্যাণীয়া নবনীতা নামে সম্বোধন করে কী আর লেখেন:

'তুমি যেহেতু এখনো কোনো উপহার প্রত্যাখ্যান করার মতো বড় হওনি, তাই উত্তরাধিকারসূত্রে তোমার এই নাম নবনীতা হলো।

আসলে নবনীতার মা রাধারানী দেবীর যখন দ্বিতীয় বিয়ে হয় নরেন্দ্র দেবের সঙ্গে তখন রবীন্দ্রনাথ 'নবনীতা' নামটি রাধারানী দেবীকেই দিয়েছিলেন।নব জীবন শুরু করছেন বলে।কিন্তু যেহেতু 'রাধারানী দেবী' নামে অনেক লেখা ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়ে গেছে তাই রাধারানী দেবী রবীন্দ্রনাথের এই অনুরোধ রক্ষা করতে পারলেন না।

বিয়ের আটবছর পর যখন 'খুকু' র জন্ম হল, রবীন্দ্রনাথ নিশ্চয় পূর্বস্মৃতি ভোলেননি।শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'অপরাজিতা' নাম বদলে খুকুর নাম রাখা হল নবনীতা।

অমর্ত্য সেনের গল্পটা অন্যরকম।বৃষ্টির মধ্যে মাটির ঘরে খড়ের চালের নিচে 'বাবুল'-র জন্ম শান্তিনিকেতনেই।মা অমিতার দিদিমা শৈলবালার হাতে অমর্ত্যর জন্ম।বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে।

দাদু ক্ষিতিমোহন সেনের সূত্রে সেন পরিবারের খুব কাছের মানুষ ছিলেন রবীন্দ্রনাথ।গুরুপল্লীর ঘরে আঁতুড়েই বাবলুকে দেখতে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।এবং নামকরণ করলেন 'অমর্ত্য'। এবং নামকরণ করে একথাও বলেছিলেন:

'বানানটা ভুল করো না।'য' ফলাটা রেখো।ওটা পাল্টে গেলে নামের মানেটাই পাল্টে যাবে।'

রবীন্দ্রনাথের নামকরণ সার্থক হয়েছিল।দু'জনেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে বিরাজ করছেন।

পৃথিবীর আর এমন কোনও দম্পতি ছিলেন কিনা জানি না, যাঁদের দু'জনেরই নামকরণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর করেছিলেন।

#সংগৃহীত


Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url