বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
০৪ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয় সর্বদলীয় সংলাপ |
গত ০৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত
হয়ম তথাকথিত সর্বদলীয় সংলাপ। সংলাপে বিএনপি জামাত বাদে তেমন কোনো প্রতিষ্ঠিত দল উপস্থিত
ছিলো না। কয়েকটি নামসর্বস্ব ও এক সদস্যবিশিষ্ট দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলো। দেশের স্বাধীনতার
নেতৃত্বদানকারী প্রাচীন দল আওয়ামীলীগ নাহয় এখন দৃশ্যপটে নাই। দেশের অন্যান্য কয়েকটি
পুরনো দলকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ডঃ কর্নেল(অবঃ) অলি আহমদ জিয়াউর রহমানের খুব ঘনিষ্ট ছিলেন। একসাথে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। বয়স ডঃ ইউনূসের চেয়েও বেশি। শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্যই জিয়াউর রহমানের আহবানে সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে আসেন।
অলি আহমদ ১৯৯১-৯৬ এর বিএনপি সরকারের
যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন। বিএনপি থেকে বেরিয়ে
এলডিপি নামে আলাদা দল গঠন করেন। যে কয়জন সদস্যই থাকুক, দলটি বেশ পুরনো। সংলাপে
যোগ দিতে এলে তাকে গেট থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
বিএনপির জোটে থেকে সকল আন্দোলনে অংশগ্রহন করেছেন।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনি দেশ সেবায় এবং পরবর্তীত রজনীতিতে স্বক্রিয়। কার
ইশারায় তাকে 'সর্বদলীয় ঐক্য সংলাপে’ দাওয়াত দেয়া হয়নি?
বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল(অবঃ) চাকরি থেকে
অবসরে এসে নিজেই 'বাংলাদেশ কল্যান পার্টি' নামে একটি দল গঠন করেন। তার দলটিও বেশ পুরনো
এবং তিনিও বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার একজন অংশীদার। তাকেই বা ডাকা হয়নি কেনো?
গত নির্বাচনে বিএনপি জোটের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলো, সেটাই কি তার অপরাধ? মতের সাথে না মিললে সে রাষ্ট্রীয়
অনুষ্ঠানেও দাওয়াত পাবে না! এটা কি বৈষম্য না?
আওয়ামীলীগ নাহয় দৃশ্যপটে নাই। কিন্তু সংলাপটা হলো কাদের নিয়ে? কিছু
নামসর্বস্ব নতুন রাজনৈতিক দলের সদস্য দেখলাম, যারা রাজনীতিতে এখনও আঁতুরঘরে। তাদের
দলও এখনো সম্পূর্ণরূপে সংগঠিত হয়নি।
তাহলে তো বোঝা যায় এটা প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণের
সংলাপ ছিলো না। নির্দিষ্ট একটি গোষ্টীর ইশারায় আয়োজিত সংলাপ অনুষ্ঠান। প্রধান উপদেষ্টা
কেবল অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন।
সর্বদলীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে কয়েকজন ‘সহমদ্ভাই’কে নিয়ে ঐক্য! এ ঐক্য কোনো শুভ ফল আনবে বলে মনে হয় না।