০৫ আগষ্ট ২০২৪-এর লুট করা অস্ত্র দিয়ে প্রেমিকাকে গুলি করে হত্যা

 
প্রেমিকের গুলিতে নিহত শাহীদা আক্তার


গত ৩০ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এক্সপ্রেওয়ের পাশ থেকে একটি মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন থেকে তার মায়ের নম্বরে ফোন করে পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ।

ঢাকা ওয়ারীর বাসিন্দা শাহিদা(২২)’র একই এলাকার তৌহিদ(২৮) নাম্মী এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মধ্যে তৌহিদ অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। বিষয়টি শাহিদা জানতে পারলে তাদের মধ্যে একাধিকবার ঝগড়া হয়।

গত শুক্রবার রাতে শাহীদাকে মুঠোফোনে ওয়ারীর বাড়ি থেকে মাওয়ায় ইলিশ খাওয়ার কথা বলে ডেকে নেয় তৌহিদ। শাহিদাকে নিয়ে সে রাতভর এক্সপ্রেসওয়েতে ঘোরাঘুরি করে। শনিবার ভোরে তারা শ্রীনগরের দোগাছি এলাকায় হাঁটাহাঁটি করে। এ সময় শাহীদা কথা প্রসঙ্গে তৌহিদকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। তৌহিদ বিয়ে করতে অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তৌহিদ পিস্তল দিয়ে শাহিদাকে গুলি করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে এভাবেই পড়ে ছিলো শাহীদার লাশ


শাহীদার মায়ের বিবরণ অনুযায়ী জানা যায়, তিন মাস আগে শাহিদা ও তৌহিদ সবার অজান্তে চাঁদপুরে ঘুরতে গিয়েছিল। সেখানে তৌহিদ শাহীদাকে মারধর করে। পরে পুলিশ এসে দুজনকে ধরে নিয়ে যায়। সেখান থেকে দুজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে তৌহিদের পরিবারের লোকজন। তখন তাদের মধ্যে প্রেমের বিষয়টি তার পরিবার জানতে পারে। তৌহিদ বিভিন্ন সময় শাহীদাকে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যেতো।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে নিহত তরুণীর মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামী করে মামলাটি করেন। পরে ০১ ডিসেম্বর ওই মামলায় একমাত্র নাম উল্লেখ করে আসমি করা হয় তৌহিদকে। ০২ ডিসেম্বর ভোরে ভোলার ইলিশা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তৌহিদকে।

তৌহিদকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক দল কাজ করছিলো। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ০১ ডিসেম্বর রাতে পুলিশের একটি দল ভোলা জেলায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে তৌহিদকে। পরে তৌহিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জের একটি পুকুর থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। সেই পিস্তল দিয়েই শাহীদাকে গুলি করা হয় বলে তৌহিদ জানায়।

প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে ভোলা থেকে গ্রেফতার করা হয় তৌহিদকে


গত ৫ আগস্ট ওয়ারী থানা থেকে পিস্তলটি লুট করেছিলো বলে পুলিশকে জানায় তৌহিদ।

সূত্রঃ প্রথম আলো



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url