বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলে - বিপ্লব কুমার দে
কবি বলেছেন "মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ।" আমাদের উপরটাও তাই বলে। চেষ্টাও করি সবাইকে বিশ্বাস করার। এই যে ফেসবুক, কে কেমন লেখে, পোস্ট করে, ছবি পাঠায় দেখে নাকি আমরা ধারণা করি, কেমন মানুষ সে। ভার্চুয়ালে সবাই সৎ।
কিন্তু ভিতরটা বলে, বিশ্বাস করা উচিত নয় মোটেই। অথচ মুখ ফুটে কেউ কাউকে বলতে পারছি না কথাটা। যদি আমাকে খারাপ ভাবে সবাই? শুধু প্রশ্নগুলোকে নিয়ে ঘ্যানঘ্যান করে চলেছি কানের সামনে।
বিশ্বাস নিয়ে যুক্তির নানা উৎপাত একে অপরের দিকে ঠেলে দিচ্ছি। চাল দিচ্ছি একেকটা বোড়ে আর ঘোড়া। বুঝে নিতে চাইছি, সাদা কালো কালো সাদা ঘরগুলোর মাঝখানে একটা নদীর দখল নিয়ে কে কতটা এগোল। কে আজ কতটা ফুটেজ পেল। বন্ধুদের ফুটেজ নিয়ে মনে হিংসা জন্মে বিস্তর। আড়ালে চলে মারপ্যাঁচ। ধরা পড়ে গেলে বলবো "ফেসবুকে আসবো না কিছুদিন। একঘেয়ে লাগছে।"
ব্যস বন্ধুরা ঝাঁপিয়ে পড়বে "আহা উহু" করবে। মিলে যাবে কাঙ্খিত ফুটেজ। আবার থেকে যাবো বেশ কিছুদিন। ন্যাকা ন্যাকা গল্প পোস্ট করবো। কিন্তু কী দেখে বিশ্বাস করবে আমায়? ভুলে যাবে আমার দাঁত নখগুলো?
মাথার উপর যদিও সিলিং ফ্যানের ব্লেডের মত পাক খাচ্ছে শব্দরা। বেয়ারা প্রশ্ন করছে। মানুষকে বিশ্বাস না করলে কি করে বোঝা যাবে সে বিশ্বাসী কি না?
লেখক: বিপ্লব কুমার দে ।