যা কিছু আনবি সব হ্যাঙ্গারে করে আনবি



 স্মৃতির পাতা থেকে:

======

আজ একটা কৌতুক মনে পরে গেল। 

>>>

কৌতুকটির অভিনয় দেখেছিলাম ১৯৮৩/৮৪ সালে ময়মনসিংহের একটি স্টেজে। 


ময়মনসিংহ শহরের খুব সুন্দর মনে রাখার মত একটি নাম ‘অর্ধেন্দু ভূষণ নিয়োগী’।

ভদ্রলোকের পরিকল্পনা ও পরিচালনায় অভিনয় করেছিলেন স্থানীয় কিছু যুবক। 


কৌতুকটি এখনও আমার মনে দাগ কেটে আছে। 

তবে লেখার মাধ্যমে কাউকে হাসাতে পারবো কিনা নিশ্চিত না।

======

’গ্রামের কিছু লোক একটা সমস্যা নিয়ে মোড়লের বাড়িতে এসেছে। 

বাড়ির বৈঠকখানায় সবাই বসে মোড়লের কাছে সমস্যাটি বর্ণনা করার পর মোড়ল তেড়ে উঠে বললেন, ‘চল, ঘটনাটি আমি সচক্ষে দেখবো’। 


মোড়ল তার বাড়ির ‘আধ পাগলা’ ভৃত্যকে হাঁক ছেড়ে ডাকলো :


মোড়ল : এই ভূতো....(কাল্পনিক নাম)।


ভুতো : আজ্ঞে কত্তা মশায়।


মোড়ল : ভেতর থেকে আমার জামাটা নিয়ে আয় তো।


-: 'ভূতোর ডান হাতে ধরা এক টুকরো আখ। 

মুখ দিয়ে চিবোনো আখের রস গড়িয়ে বুক বেয়ে পড়ছে।

বাম হাতে দলা-মোচরা করা শার্টটি এনে দূর থেকে সবার মাথার উপর দিয়ে নিক্ষেপ করলো মোড়লের গায়ের উপর। 

বিষয়টি দেখে আগন্তকরা  হতভম্ব, মোড়ল বিব্রত।'


মোড়ল : এই, তোকে না বলেছি, যা কিছু আনবি সব হ্যাঙারে করে আনবি।


ভূতো : জে আজ্ঞে কত্তা মশাই। -বলে ভেতরে চলে গেল।


মোড়লের জামা পরিধান শেষে কিছুক্ষণ পর আবার হাঁক :


মোড়ল : এই ভূতো...


ভূতো : আজ্ঞে যাই কত্তা মশায়।


মোড়ল : আমার জুতো জোড়া নিয়ে আয় তো।


-: 'আগের মত আখ চিবোতে চিবোতে একটা লম্বা লাঠির (সম্ভবতঃ সেটা ধান, খড় নাড়ার কাঁদাইল) মাথায় হ্যাঙার ঝুলিয়ে, হ্যাঙারের দুই পাশে দুই জুতা।

এবার সঠিক কাজটি করেছে ভেবে খুশিতে গদগদ ভূতো সবার মাথার উপর দিয়ে লাঠিটা হেলিয়ে মোড়লের মুখের সামনে জুতো জোড়া ধরে আহ্লাদের সুরে বললো, ‘এই নেন কত্তা মশাই’।(সংক্ষেপিত)


মন্তব্য : 

(১) বানরের হাতে লাঠি দেবেন না। 

যে যেই কাজের জন্য উপযোগী তাকে সেই কাজ দিন।


(২) কাউকে কোন আদেশ দেবার আগে সে আদেশ গ্রহন ও পালন করার যোগ্যতা তার আছে কিনা তা আগে ভেবে নিন।


(১৬ মে ২০১৪-এর ফেসবুক পোষ্ট থেকে)



আতাউর রহমান খান

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url