মাদ্রাসা ছাত্রদের নিখোঁজ হওয়া প্রসঙ্গে

 
এই ছেলেটি রাজবাড়ী শহেরর কোনো এক মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয়

গত কয়দিন যাবৎ ফেসবুকে বিভিন্ন পোষ্ট দেখছি, আমার নিজের জেলা রাজবাড়ীর কয়েকটি মাদ্রাসা ছাত্রকে খঁজে পাওয়া যাচ্ছে না – যারমধ্যে আমার গ্রামের মাদ্রাসাও আছে।

 

এ কাহিনী নতুন না। বহুদিন যাবৎ শুনে আসছি এসব কাহিনী। এ প্রসংগে পুরনো কয়েকটি খবরের স্ক্রিনশট এই লেখার সাথে সংযুক্ত করলাম।




মাদ্রাসায় যারা পড়ে তারা অধিকাংশই গরীব ঘরের সন্তান। যারমধ্যে আছে স্বামী পরিত্যাক্তা স্ত্রীর, যিনি সন্তানের মায়া ত্যাগ করতে পারেন না বলে নিজের কাছে রেখে দেন। ঙ্কিছুদিন পরে সন্তানও বড় হয়। যৈবিক প্রয়োজনে উভয়েই অন্যত্র বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। সন্তান তখন হয় ‘বোঝার উপর শাকের আটি’র মতো। তখন একমাত্র উপায়, সন্তানকে “স্বরচিত এতীমখানা” নামক বোর্ডিং মাদ্রাসার তথাকথিত হুজুরদের হাতে সঁপে দেয়া।

 

এই ধরণের পরিবারে সন্তানের বাবারাও নিজেকে নির্ঝঞ্ঝাট রাখতে সহজেই তা মেনে নেয়। অনেকের সন্তান-সংসারের প্রতি কোনো মায়া আছে বলে মনে হয় না। এমন অনেক ঘটনা অহরহ অবগতিতে আসে। আমার নিজের বাসায় যেসব মহিলা কাজ করতে আসে তাদের মধ্যে প্রায় সবাই এমন ভগ্ন পরিবারের সদস্য।

 

আর কিছু আছে মাদ্রাসার ‘হুজুরদের’ প্রলোভনে পড়ে সহজে পরিবারের “১০ জন” সদস্যের “বেহেশতের টিকেট” কনফার্ম করার মিথ্যে আশ্বাসপ্রাপ্ত লোভী বাবা-মা। মা রাজি না থাকলেও বাবার চাপে বা মিথ্যে আশ্বাসে রাজি হতে বাধ্য হয়।

 

সে যাইহোক, এই যে মাদ্রাসার হুজুর নাম্মী লোভী ভন্ডদের বিকৃত যৌন লালসার স্বীকার অল্পবয়সী নিস্পপ-নিরুপায় ছেলেরা নির্যাতনে টিকটে না পেরে এভাবে নিখোঁজ হয়,- তাদের কেউ সাহস করে পরিবারের কাছে ফিরে গিয়ে নির্যাতনের কথা তুলে ধরে। অনেক শিশু বাবা-মায়ের নির্যাতনের ভয়ে নিরুদ্দেশ হয়।

 

এসবের খুব সামান্য সংখ্যক ঘটনার খবরই সংবাদ মাধ্যমে আসে। কতোশত ঘটনা যে আড়ালে থেকে যায় তার খবর কেউ রাখে না। এর কি কোনো ব্যবস্থা নেই? এ ব্যাপারে যথযথ ব্যবস্থা নিতে সমাজ, রাষ্ট্রের কি কোনো দায় নেই?

 

অন্যায় অনিয়ম চিরকাল চাপা থাকে না। সত্য একদিন উদ্ভাসিত হয়ই। আশাকরি সচেতন সমাজসেবক তথা সাধারণ নাগরিকরা এসব নিয়ে ভাববেন এবং এর প্রতিকারের সঠিক ও ন্যায়ানুগ উপায় খুঁজে বের করবেন। আলো একদিন আসবেই।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url