এ ট্রেন জার্নি বাই "চন্দনা এক্সপ্রেস"
ছবিঃ সংগৃহীত |
এ ট্রেন জার্নি বাই "চন্দনা এক্সপ্রেস"
রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-ঢাকা
ঢাকা-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী
কমিউটার ট্রেন
রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-ঢাকা পথে চালু হওয়া কমিউটার ট্রেনটি
রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত আসে "চন্দনা এক্সপ্রেস" নামে। একই ট্রেন ভাঙ্গা
থেকে ঢাকা অংশে "ভাঙ্গা এক্সপ্রেস" নাম ধারণ করে। টিকিটও দুই ভাগে করতে হয়।
এই অপ্রয়োজনীয় ও অভিনব পদ্ধতি নির্ধারণ করার কি কারণ তা সাধারণের কাছে স্পষ্ট নয়।
২২ জুন ২০২৪ তারিখে রাজবাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে
"চন্দনা এক্সপ্রেস" ট্রেনে যাত্রার প্রয়োজন হয়।
ট্রেনটি রাজবাড়ী থেকে ভোর ৫টায় ছাড়ার কথা থাকলেও
৭ মিনিট বিলম্বে ছাড়ে। তবে ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছার
নির্দিষ্ট সময় সকাল ৬টা ১৫ মিনিটেই পৌঁছে। ট্রেনটি রাজবাড়ী থেকে সরাসরি ভাঙ্গা ষ্টেশনে
গিয়ে থামে। মাঝে কোনো বিরতি নাই।
ট্রেনটি কি কারণে ভাঙ্গা স্টেশনে ১ ঘণ্টা যাত্রা
বিরতি করে তা বোধগম্য নয়। এই ১ ঘণ্টা ইঞ্জিন এবং বিদ্যুতের জন্য আলাদা জেনারেটর ঠিকই
চালিয়ে রাখতে হয। অথচ ফরিদপুরের মতো পুরোনো জেলা শহরে বিরতি রাখা হয়নি। তাছাড়া একটি
স্টেশনে বিনা কারণে ১ ঘণ্টা বিরতি অস্বাভাবিকও বটে। যাত্রী ভোগান্তি তো আছেই।
ভাঙ্গা স্টেশন থেকে তেমন প্যাসেঞ্জার উঠতে দেখিনি।
ভাঙ্গা জংশন স্টেশন হলে হয়তো আরো বেশি প্যাসেঞ্জার উঠতো। তবে শিবচর এসে বেশ কিছু প্যাসেঞ্জার
ওঠে। কিন্তু শিবচর স্টেশনে বিরতি মাত্র ২-৩ মিনিট।
ট্রেনটি ভাঙ্গা থেকে ছাড়ার নির্দিষ্ট সময় সকাল
৭টা ১৫ মিনিটেই ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঢাকায় পৌঁছার সময় সকাল ৯টা। কোনো কোনো
সূত্রমতে ০৯.৩০ মিনিট। মাঝে শিবচর ও মাওয়া স্টেশনে যাত্রাবিরতি। তবে শিকারপুর-নিমতলা
নামক স্টেশনে দাঁড়িয়ে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনকে ক্রসিং পাস দিতে হয়। ক্লিয়ারেন্স
না পাওয়ায় কমলাপুর ষ্টেশনের আউট সিগন্যালে বেশ কিছুক্ষণ দঁড়িয়ে থাকতে হয়। তবুও ০৯.৩০
ঘটিকার আগেই কমলাপুর ষ্টেশনে ইন করে। উল্লেখিত দুটি জায়গায় অনির্ধারিত বিরতি না দিলে
হয়তো সকাল ৯টার মধ্যেই কমলাপুর পৌঁছে যেতো।
একই ট্রেন ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময়
সন্ধ্যা ৬টা। ভাঙ্গা পৌঁছার সময় রাত ৮টা। ভাঙ্গা থেকে রাত ৮টা ১০ মিনিটে ছেড়ে রাজবাড়ী
পৌঁছার নির্ধারিত সময় রাত ৯টা ৩০ মিনিট।
ট্রেনেটিতে ২৪টি প্রথম শ্রেণী ও ৪৪টি শোভন চেয়ার
এবং ৪২৪টি শোভন সিট থাকার কথা থাকলেও প্রথম শ্রেণী ও শোভন চেয়ার সিট দেয়া হয়নি। শুধু
শোভন শ্রেণী দেয়া হয়েছে। ৬টি কোচ দেয়ার কথা থাকলেও সেদিন দেখা যায় ৫টি। তবে যোগাযোগ
ব্যবস্থার আশাতীত উন্নতি হওয়ায় সরাসরি ট্রেনে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকা আসতে পারছে সেজন্যে
ট্রেনযাত্রী সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্তুষ্টির বহিঃপ্রকাশ লক্ষ্য করা গেছে এবং ভবিষ্যতে
আরো উন্নতি হবে, এই আশাবাদও ব্যক্ত করতে দেখা গেছে।
যাইহোক, কর্তৃপক্ষের যে পরিকল্পনাই থাকুক, অন্তত
ফরিদপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়া যায় কিনা তা ভেবে দেখা উচিৎ।