পবিত্র কোরআনে আল্লাহ ইহুদীদের কেনো শ্রেষ্ঠ ঘোষণা করেছেন?
প্রতীকী ছবি |
পবিত্র কিতাবে বর্ণিত
অভিশপ্ত ইহুদীদেরকে কি কারণে ঈশ্বর বিশেষ ক্ষমতা আর প্রখর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে
দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন এটা যেন এক আশ্চর্য্যজনক ব্যাপার।
উন্নত প্রযুক্তির
কারখানা থেকে যেমন বিভিন্ন উন্নতমানের জিনিস বানানো যায় তেমন করে এই ইহুদী
সম্প্রদায় থেকে প্রখর বুদ্ধিমান মানুষ জন্ম নেয়াটা যেন অনিবার্য বাস্তবতা।
ইহুদীরা প্রকৌশল,
সংগীত, জ্ঞান-বিজ্ঞান সহ জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই অন্যদের থেকে অনেক অনেক
এগিয়ে এবং বিশেষ করে ব্যবসার ক্ষেত্রে যেখানে প্রসাধনী, খাদ্য, অস্ত্র, ফ্যাশন,
ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রি ইত্যাদি সহ (হলিউড) পৃথিবীর প্রায় সত্তর ভাগের কাছাকাছি ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান এদের দখলে।
ইহুদী মহিলাদের
গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েরা সবসময় গান বাজনা এবং পিয়ানো বাজাবে এবং তাদের
স্বামীদেরকে নিয়ে গণিতের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করবে, এমনকি গর্ভবতী মহিলারা
সবসময় তাদের সাথে সাথে গণিতের বই রাখে সামান্য অবসরেও গণিতচর্চা করার জন্য - যাতে
তাদের শিশু গর্ভে থাকাবস্থায় মেধাচর্চায় প্রশিক্ষিত হয় এবং পরবর্তীতে জন্মের পর
আরো বেশি মেধাবী হয়ে বেড়ে উঠতে পারে। বাচ্চা প্রসবের আগ পর্যন্ত তারা তাদের এই
গাণিতিক সমস্যার সমাধান চালিয়ে যায়।
এদের গর্ভবতী মায়েরা
আলমন্ড খেজুড় আর দুধ খেতে খুব ভালোবাসে এবং দুপুরের খাবারের তালিকায় থাকে রুটি
এবং মাছ(মাথা ছাড়া), আলমন্ড এবং অন্যান্য বাদাম যুক্ত সালাদ। তারা বিশ্বাস করে যে
মাছ হচ্ছে মস্তিষ্কে পুষ্টি সরবরাহ করে, অপর দিকে মাছের মাথা মস্তিষ্কের জন্য
খারাপ। এছাড়াও গর্ভবতী মহিলাদের কড লিভার খাওয়া ইহুদী সংস্কৃতির একটি অংশ।
তারা সবসময় মাছ খেতে
খুব পছন্দ করে এবং মাংস এড়িয়ে চলে। তাদের বিশ্বাসমতে মাছ এবং মাংস দুটি একসাথে
খেলে তা শরীরের কোনো কাজে লাগে না। অপর দিকে সালাদ এবং বাদাম তাদের খাদ্য তালিকায়
অবশ্যই থাকবে, বিশেষ করে আলমন্ড।
তারা যে কোনো প্রধান
আহারের আগে ফল খাবে। তারা বিশ্বাস করে যে যদি প্রধান আহারের পরে ফল খাওয়া হয় তবে
তা নিদ্রার উদ্রেগ ঘটাবে যা পাঠ গ্রহনের ক্ষেত্রে বাধার কারণ হয়ে দাড়াবে।
বাচ্চারা কি খাবার খাবে
সেটা সবসময় তাদের পিতামাতা ঠিক করে দেয়। প্রথমে ফল খাবে এরপর প্রধান খাবার খাবে
যেমন রুটি মাছ-এর পর কড লিভারের তেল খাবে।
ইসরাইলে অবাধে ধুমপান
করা নিষিদ্ধ। ইসরাইলী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে, ধুমপান মস্তিষ্কের
কোষগুলোকে ধীরে ধীরে ধ্বংশ করে দেয় এবং শরীরের জিন এবং ডিএনএ কে ক্ষতিগ্রস্থ করে,
ফলে বংশপরম্পরায় ত্রুটিযুক্ত মস্তিষ্কের কোষযুক্ত বাচ্চা জন্মগ্রহন করবে।
প্রত্যেকটি ইহুদী
বাচ্চারাই সাধারনত তিনটি ভাষার উপর দখল থাকে - হিব্রু, আরবী এবং ইংরেজী। শিশুকাল
থেকেই প্রত্যেকটি বাচ্চাকে ভায়োলিন এবং পিয়ানো বাজানোর প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।
তারা বিশ্বাস করে এতে
করে তাদের আইকিউ লেভেল এর বৃদ্ধি ঘটে এবং বাচ্চারা মেধাবী হয়ে বেড়ে উঠে। জিউস
বিজ্ঞানীদের মতে, সঙ্গীতের কম্পন মস্তিষ্কের কোষগুলোকে উদ্দীপিত করে। একারনেই
ইহুদীদের মাঝে এত মেধাবী মানুষ দেখা যায়।
ক্লাশ ওয়ান থেকে সিক্স
পর্যন্ত তাদেরকে গনিত এবং ব্যবসাশিক্ষা শিখানো হয়। বিজ্ঞান তাদের এক নম্বর
পছন্দের বিষয়। ইহুদি বাচ্চারা কিছু বিশেষ ক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে যেমন, দৌড়,
ধনুবিদ্যা এবং শুটিং।
তারা মনে করে শুটিং এবং
ধনুবিদ্যা তাদের মস্তিষ্ক্যকে সঠিক ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান
শিক্ষার উপর বিশেষ জোর দেয়া হয়। এসময় তারা বিভিন্ন জিনিস বানানোর চেষ্টা করে
থাকে, এর মধ্যে সবধরনের প্রজেক্ট থাকে। যদিও তাদের বানানো কিছু কিছু জিনিস অনেক
হাস্যকর এবং ব্যবহার অযোগ্য লাগতে পারে। কিন্তু সব কিছুতে গুরুত্বের সাথে মনোযোগ
দেওয়া হয়, বিশেষ করে যদি সেটা হয় যুদ্ধোপকরন, ঔষধ কিংবা যন্ত্রবিজ্ঞান। যে সকল
প্রকল্প বা ধারনাগুলো সফলতা পায় সেগুলোকে উচ্চবিদ্যাপিঠগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়
আরো ভালো ভাবে গবেষনা করবার জন্য।
তাছাড়া ইহুদী
তরুণদেরকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বছরে ব্যবসা শিক্ষা অনুষদকে সবচেয়ে বেশি
গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং ব্যবসা শিক্ষার সকল ছাত্র ছাত্রীদের একটি করে প্রজেক্ট
দেওয়া হয় এবং তারা শুধু মাত্র পাস করতে পারবে যদি তাদের গ্রুপ (প্রতি গ্রুপে
আনুমানিক ১০জন) সেই প্রজেক্ট থেকে ইউএসডি এক মিলিয়ন ডলার লাভ করতে পারে এবং এই
কারণে পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইহুদীদের দখলে।
আমেরিকায় ইহুদীদের
বানিজ্যিক কেন্দ্র নিউইয়র্কে অবস্থিত যেখান থেকে তাদের জন্য খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ
করা হয়। যদি কোনো ইহুদী ব্যাক্তির লাভজনক কোনো আইডিয়া থাকে তাহলে সেই বানিজ্যিক
কেন্দ্র হতে সুদবিহীন মূলধনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় এবং সেটাকে সফল করতে সব
ধরনের সহযোগীতা প্রদান করে থাকে। একই ভাবে জিউস কম্পানিতে যেমন - স্টারবাক্স,
লিভাইস, হলিউড, ওরাকল, কোকাকোলা ডানকিন ডোনাট সহ যে সকল প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের
ফ্রী স্পন্সরশীপ দেওয়া হয়।
ফেরাউনের সময় থেকে
শুরু করে হিটলারের সময় পর্যন্ত সীমাহীন নিপীড়ন গণহত্যা আর নিগ্রহের শিকার হয়েও
চাপাতিওয়ালা বোমাবাজদের মতো পুরা দুনিয়াকে বিষাক্ত করার পরিবর্তে মানবজাতির
কল্যানের জন্য ইহুদীদের মতন এমন একটা বুদ্ধিমান মেধাবী সম্প্রদায় আজ আধুনিক
পৃথিবীর নির্মাণশিল্পী।
তপ্তবালুজাত অবোধ্য
বুলি শিখে গর্বিত অন্ধ তোতাপাখিদের শত শত কোটির পয়দাবিস্ফোরণের বিপরীতে সারা
পৃথিবীতে আছে মাত্র দেড় কোটি মেধাবী ইহুদী।
ইহুদীদের আমি নিজেও
একদম পছন্দ করিনা এটাই প্রকৃত সত্য কারণ ওরা আমার মতো বিশ্বাসী হয়ে মহান সত্যে
ঈমান আনে নাই।
লিখেছেনঃ ইভান
ব্রিয়ান প্লাসিড (Evan Brian Placid)