অর্থ না বুঝে মুখস্থ বিদ্যা ভয়ংকর!
এই শ্রমঘন, সময়ঘন কঠিন কাজটি করিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে কী বীজ বপন করতে চাচ্ছে তাই তো বুঝতে পারি না!
মুখস্ত করুক, আপত্তি নেই। সাহাবীরা কোরান মুখস্ত না রাখলে হয়তো আমরা কোরআন পেতাম না। কিন্তু সেইসাথে তার অর্থ জেনে সেই মোতাবেক জীবনযাপন করতে হবে।
শুধু ভিনদেশী ভাষায় পাখির মতো ডাকাডাকি করলেই কোন মানুষ ধার্মিক হয়ে যাবে! নাকি ধর্ম সম্পর্কে আদতেই কিছু শিখবে!
তাই যদি হতো এ দেশের নিরক্ষর লোকটিও কোরানের অন্তত বিশ পঁচিশটি সুরা মুখস্ত পারে, না হয় নামাজ পড়তে পারতো না। সেই সব সুরা তো কোন না কোন নির্দেশনা দিয়েছে।
সেই নির্দেশনা যদি মানা হতো অন্তত মূর্খ থাকতো না মানুষ।
সুরা ফাতেহার নির্দেশনা যদি কোন মানুষ বুঝতো তাহলে জায়নামাজের তলে ঘুষের টাকা রেখে সিজদা দিতো না!
মিথ্যাচারে নিজের চারপাশ গড়তো না!
৮০% মুসলানের দেশ হতো কল্পিত জান্নাতুল ফেরদৌস! এখানে দয়া-মায়া, মানবতা থাকতো, কেউ কারো সম্পদ হরণ করতো না, কেউ কাউকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতো না। ঝগড়া-ঝাটি, দখদারি, অত্যাচার, মিথ্যাচার, ক্ষমতা-লোভ হিংসা-দুর্নীতি কিছুই থাকতো না।
বিবেককে শাণিত করতে হলে শিক্ষা দরকার, যা পড়বে তা বুঝবে সে অনুযায়ী কাজ করবে।
কুরআন শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, সমগ্র মানব্জাতির জন্য। ইচ্ছা করলে যে কেউই পড়তে পারে, বুঝতে পারে, এর জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হবে তার জন্য কোন শর্ত নেই।
ধর্মগ্রন্থগুলো এসেছেই মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের জন্য। যে কোন গ্রন্থ যে কোন ব্যক্তিই পড়তে পারে.....
২বৈশাখ ১৪৩১
লিখেছেন: Shahana Siraji
আংশিক সংযোজিত