আগরতলার মানিক্য রাজ বংশের রাজ প্রাসাদ
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় অবস্থিত ‘উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ’ নামের প্রাসাদটি আগরতলার মানিক্য রাজ বংশের রাজ প্রাসাদ ছিলো। প্রাসাদটি ১৮৯৯ থেকে ১৯০১ সালের মধ্যে মহারাজা “রাধা কিশোর মাণিক্য দেব বর্মন” নির্মাণ করেন। এটি ইউরোপীয় শৈলী দ্বারা অনুপ্রাণিত বাগান
দ্বারা বেষ্টিত দুটি হ্রদের তীরে অবস্থিত। ১৯৪৯ সালের অক্টোবরে ত্রিপুরা রাজ্য
ভারতে একীভূত হওয়ার আগ পর্যন্ত এটি তৎকালিন শাসক মাণিক্য রাজবংশের বাড়ি ছিলো।
১৯৭২-৭৩ সালে ত্রিপুরা সরকার রাজপরিবারের কাছ থেকে প্রাসাদটি ২৫ লাখ রুপিতে কিনে নেয়।
জুলাই ২০১১ পর্যন্ত এটি রাজ্য
বিধানসভার দপ্তর ছি্লো।
'উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ' বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যের কেন্দ্রীয় জাদুঘর।
২০২৩ সালের জুলাই মাসে আগরতলা বেড়াতে গিয়ে
জাদুঘরটি পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর ব্যাপক সংগ্রহ দেখতে পাই।
জাদুঘরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামের
গ্যালারিতে সংরক্ষিত একটি গ্রামোফোন রেকর্ড (কলের গান) দেখতে পাই। ভেতরে ছবি
তোলার উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এক ফাঁকে ছবিটি নিয়েছিলাম।
উইকি দেখে চিন্তায় পড়ে গেলাম যে, বিরাট পুকুর
সহ বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে নির্মিত এতোবড় রাজ প্রাসাদ মাত্র ২৫ লাখ টাকায় রাজ
পরিবার কেনো দিলো!
উল্লেখ্য, ভারতের সাথে একীভূত হওয়ার পর রাজকীয় সম্পত্তি জাতীয়করণ করা হয়। সেদিক দিয়ে ভাবলে প্রাসাদটি পাবলিক
প্রপার্টিতে পরিণত হয়। পাবলিক প্রপার্টি আবার পাবলিককেই কেনো টাকা দিয়ে কিনতে
হলো? অংকটা মিলছে না।