জীবনযোদ্ধার রোজনামচা (০৩ জানুয়ারি ২০২৪)

 

ছবিঃ প্রতীকী

ঘটনা-১:

রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল – এসব হাসপাতাল নতুন হলেও নিজস্ব স্বয়ংক্রিয় সার্ভার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বা পরিচালিত। রোগীর সব তথ্য সার্ভারে থাকে। হাসপাতালের যে কোনো কম্পিউটারে আইডি দিয়ে সার্চ করলেই তথ্য পাওয়া যায়। অথচ বাংলাদেশের ১ নম্বর সরকারি হাসপাতাল “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়” এখনো চলছে ‘ম্যানুয়্যাল’ পদ্ধতিতে। কাগজ হাতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করতে হয়।

 

ঘটনা-২:

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়ার ব্যাপারে সরকারের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত হাসপাতালসমূহের ব্যয় মেটানোর জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে বার্ষিক বরাদ্ধ দেয়া হয়। সেই অনুযায়ী বিশেষায়িত হাসপাতালের জন্য একজন মুক্তিযোদ্ধার জন্য সর্বোচ্চ ব্যয় বেঁধে দেয়া হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা।

এছাড়াও ভর্তি রোগীর জন্য রয়েছে আলাদা নির্দেশ। ভর্তি রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে বাইরের দোকান থেকে ওষুধ কেনার কথা নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে এবং সেজন্যে মাসিক বিল সাবমিট করে পেমেন্ট নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

এতদ্বসত্বেও বিএসএমএমইউ-তে এক মুক্তিযোদ্ধার কেবিনে গিয়ে দেখলাম অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ তার নিজের টাকায় কিনতে হয়েছে।

কার কথা কে শোনে!!

 

ঘটনা-৩:

পুলিশের আচরণ!

বেশ কয়েক বছর ধরে সাধারণের প্রতি পুলিশের আচরণের গুণগত পরিবর্তণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বেনজীর আহমেদ পুলিশ প্রধান হওয়ার পর থেকে তা আরো বৃদ্ধি পায় এবং বেশ উল্লেখযোগ্য সদাচরণ পরিলক্ষিত হয়।

উল্লেখিত সময়ের পর থেকে রাস্তায় যতোজন ট্রাফিক পুলিশ মোকাবেলা করতে হয়েছে, তাদের কারো কাছ থেকে কোনো খারাপ আচরণ পাইনি; বরং অনেককেই স্যার সম্বোধন করে বিনয়ের সাথে কথা বলতে দেখেছি, যা বাংলাদেশের সস্কৃতিতে একসময় অকল্পনীয় ছিলো।

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ধৈর্য্য এবং অসহায়ত্বের কথা মাঝেই মাঝেই লেখার মাধ্যমে তুলে ধরি।

কিন্তু……

আজ বিজয় স্মরণীতে একজন সার্জেন্টকে অন্যায়ভাবে অসদাচরণ করতে দেখে অবাক হয়েছি। তার আচরণে মনে হয়েছে, সে তার পারিবার, সমাজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিষ্টাচার শিক্ষা; এমনকি তার চাকরিরত প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া প্রশিক্ষণের ভালো দিকগুলো গ্রহণ করেনি। তার আচরণে পাশে দাঁড়ানো একজন পুলিশ সদস্যও বিব্রতবোধ করছিলো।

বিশ্বাস করি, পুলিশের পশিক্ষণে অবশ্যই “এটিকুয়েট এন্ড ম্যানার” শিক্ষা দেয়, অসদাচরণ শিক্ষা দেয় না; যে কারণে মাঝে মাঝে অনেক পুলিশ সদস্যকে শারীরিকভাবে অক্ষম পথচারীকে রাস্তা পারাপারে সাহায্য করতে দেখি।

উল্লেখ্য, আমি নিজে একজন রোগগ্রস্থ জীবনযোদ্ধার রোজনামচা 

(০৩ জানুয়ারি ২০২৪)


ঘটনা-১:


রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল – এসব হাসপাতাল নতুন হলেও নিজস্ব স্বয়ংক্রিয় সার্ভার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বা পরিচালিত। রোগীর সব তথ্য সার্ভারে থাকে। হাসপাতালের যে কোনো কম্পিউটারে আইডি দিয়ে সার্চ করলেই তথ্য পাওয়া যায়। অথচ বাংলাদেশের ১ নম্বর সরকারি হাসপাতাল “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়” এখনো চলছে ‘ম্যানুয়্যাল’ পদ্ধতিতে, কাগজ হাতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করতে হয়।


 


ঘটনা-২:


বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়ার ব্যাপারে সরকারের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত হাসপাতালসমূহের ব্যয় মেটানোর জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে বার্ষিক বরাদ্ধ দেয়া হয়। সেই অনুযায়ী বিশেষায়িত হাসপাতালের জন্য একজন মুক্তিযোদ্ধার জন্য সর্বোচ্চ ব্যয় বেঁধে দেয়া হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা।


এছাড়াও ভর্তি রোগীর জন্য রয়েছে আলাদা নির্দেশ। ভর্তি রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে বাইরের দোকান থেকে ওষুধ কেনার কথা নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে এবং সেজন্যে মাসিক বিল সাবমিট করে পেমেন্ট নেয়ার কথা বলা হয়েছে।


এতদ্বসত্বেও বিএসএমএমইউ-তে এক মুক্তিযোদ্ধার কেবিনে গিয়ে দেখলাম অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ তার নিজের টাকায় কিনতে হয়েছে।


কার কথা কে শোনে!!


 


ঘটনা-৩:


পুলিশের আচরণ!


বেশ কয়েক বছর ধরে সাধারণের প্রতি পুলিশের আচরণের গুণগত পরিবর্তণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বেনজীর আহমেদ পুলিশ প্রধান হওয়ার পর থেকে তা আরো বৃদ্ধি পায় এবং বেশ উল্লেখযোগ্য সদাচরণ পরিলক্ষিত হয়।


উল্লেখিত সময়ের পর থেকে রাস্তায় যতোজন ট্রাফিক পুলিশ মোকাবেলা করতে হয়েছে, তাদের কারো কাছ থেকে কোনো খারাপ আচরণ পাইনি; বরং অনেককেই স্যার সম্বোধন করে বিনয়ের সাথে কথা বলতে দেখেছি, যা বাংলাদেশের সস্কৃতিতে একসময় অকল্পনীয় ছিলো।


ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ধৈর্য্য এবং অসহায়ত্বের কথা মাঝেই মাঝেই লেখার মাধ্যমে তুলে ধরি।


কিন্তু……


আজ বিজয় স্মরণীতে একজন সার্জেন্টকে অন্যায়ভাবে অসদাচরণ করতে দেখে অবাক হয়েছি। তার আচরণে মনে হয়েছে, সে তার পারিবার, সমাজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিষ্টাচার শিক্ষা; এমনকি তার চাকরিরত প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া প্রশিক্ষণের ভালো দিকগুলো গ্রহণ করেনি। তার আচরণে পাশে দাঁড়ানো একজন পুলিশ সদস্যও বিব্রতবোধ করছিলো।


বিশ্বাস করি, পুলিশের পশিক্ষণে অবশ্যই “এটিকুয়েট এন্ড ম্যানার” শিক্ষা দেয়, অসদাচরণ শিক্ষা দেয় না; যে কারণে মাঝে মাঝে অনেক পুলিশ সদস্যকে শারীরিকভাবে অক্ষম পথচারীকে রাস্তা পারাপারে সাহায্য করতে দেখি।


উল্লেখ্য, আমি নিজে একজন রোগগ্রস্থ বয়োবৃদ্ধ মানুষ এবং ডাক্তার দেখানোর জন্য একটি হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। দেরি হয়ে গেলে ‘এপয়েন্টমেন্ট সিডিউল’ মিস হয়ে যাবে। অন্যায়ভাবে অসদাচরণ সত্বেও বিনয়ের সাথে সে কথা জানিয়ে উল্টো তার তাচ্ছিল্যর পাত্র হয়েছি। তীর্যক মন্তব্য শুনতে হয়েছে।


পরম করুণাময় আমাদের আরো উদার, সহনশীল ও শালীন হওয়ার সুযোগ দিন।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url