জীবনযোদ্ধার রোজনামচা (২৬ জানুয়ারি ২০২৪)

 আজকের ভাবনা


চলতি ঘটনার ছবি

আজকাল যারা ওয়াজ শুনতে যায় তাদের বেশিরভাগই অল্প বয়সী এবং আপাতদৃষ্টিতে মনেহয় তারা আসলে ওয়াজ শোনার চাইতে বিনোদনের জন্য যায়। কারণ, এখন তো আর গ্রামগঞ্জে আগের মতো কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক, সার্কাস ইত্যাদি বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় না। সেই জায়গা পূরণ করেছে ওয়াজ মাহফিল। যাদের হাতে এন্ড্রয়েড ফোন ওঠে নাই, এন্ড্রয়েড ফোনকেই যারা আগেকার দিনের টিভির মতো "শয়তানের বাক্স" মনে করে, তারাই যায় ওয়াজে বিনোদন উপভোগ করতে। বকিরা মোবাইলেই বিনোদন উপভোগ করে।

 

আয়োজকদেরও কোনো না কোনো ধান্ধা থাকে। মসজিদ মাদ্রাসার নাম করে ফান্ড তৈরি করে, যাদের বেশিরভাগেরই উদ্দেশ্য থাকে, "ফান্ড হলেই কাজ, কাজ হলেই ধান্ধা"!

 

অনেকের আবার গোড়াতেই "ধান্ধা"র উদ্দেশ্য থাকে। যেমন; শহরের কোনো ঘুপচিতে কিংবা গ্রামের কোনো সুবিধামত জায়গায় মাদ্রাসার নামে ‘ব্যবসা প্রতিষ্ঠান’ খুলে তার মাধ্যমে নিজের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করা। সিজনের অময় ওয়াজ মাহফিলের নামে বাড়তি আয়ের ধান্ধা করে।

 

মাদ্রাসায় ছাত্র সংগ্রহে এরা সাধারণত টার্গেট করে অসহায় দরিদ্রদের সন্তান কিংবা ভগ্ন দম্পতির পরিত্যক্ত/অবহেলিত সন্তানদের। তাদেরকে এতিম নাম দিয়ে মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তুলে মাদ্রাসা চালায়। এতে নিজের রুটি-রুজির ব্যবস্থার সাথে নিরীহ ছেলেদেরকে "স্বর্গীয় গেলমান"এর অনুকরণে সেবাদাসে পরিণত করে। হাত=পা টিপে দেয়া, গায়ে তেল মেখে দেয়া ইত্যাদি নানাবিধ সেবা নিতে নিতে এক পর্যায়ে যখন মনের পশু জাগ্রত হয়ে ওঠে, তখন সুযোগ বুঝে সেসব সেবাদাসদের বাধ্য করে তাদের সাথে পশুসুলভ জৈবিক ক্রিয়া সম্পাদন করতে।

 

এসব কাজে বাধ্য করতে ছেলেদেরকে আবার আল্লাহর, কোরআনের দোহাই দিয়ে, দোযখের ভয় দেখিয়ে বশ করে। তারমধ্যে যারা পাশবিকতা সহ্য করতে না পেরে বিগড়ে যায় কিংবা আহত হয়, তখন বাধ্য অভিভাবক কিংবা স্থানীয়দের জানাতে। কদাচিত দুয়েকজন বাবা-মা সন্তানের উপর নির্যাতনের জন্য সংখুদ্ধ হয়ে মামলা করে। এরকম অল্প দুয়েকটা ঘটনাই জানা যায়। বাকি সব অজানাই রয়ে যায়। এমন দুটি খবরের স্ক্রিনশট এই লেখায় সংযুক্ত করলাম।

 

যাইহোক, এ ব্যাপারে সরকার কৌশলে কিছু ব্যবস্থা নিলেও পুরাপুরি নিতে পারে না এদেরই গলাবজিতে। ব্যবস্থা নিতে গেলেই ধর্মের দোহাই দিয়ে সরকারকে অস্থির করে তোলে। তবুও সরকারকে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।


এ ছাড়াও সমাজকে সচেতন করতে- গ্রামে-গ্রমে, শহরের মহল্লায়-মহল্লায় শিক্ষিত যুবকদের সমন্বয়ে সমাজসেবাকমূলক সংগঠন গড়ে তুলতে হবে, যাতে সাধারণ নিরীহ মানুষ এবং তাদের সন্তানরা ওইসব “আলেম” নাম্মী ধর্ম ব্যাবসায়ী এবং সুবিধাভোগী লম্পটদের খপ্পরে না পড়ে এবং এ ব্যাপারেও সরকারকেই পৃষ্ঠপোষকের ভূমিক পালন করতে হবে।

 

গত কয়েকদিন যাবৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি খবরের স্ক্রিনশট ঘুরে বেড়াচ্ছে। খবরটি ২০২০ সালের হলেও রীতিমতো আতঙ্কজনক!


০৯ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে প্রকাশিত ডিবিস নউজের সংবাদ






Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url