"বেনাপোল এক্সপ্রেস"
বেনাপোল এক্সপ্রেস |
রাজবাড়ী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাত্র আড়াই ঘণ্টায় ঢাকা পৌঁছলাম। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে কোনোদিন ভাবনায়ও আসেনি মাত্র আড়াই ঘণ্টায় রাজবাড়ী থেকে ঢাকা পৌঁছতে পারবো।
রাজবাড়ী থেকে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে ছাড়ার টাইম হলেও ছাড়ে ৬টা ১৫ মিনিটে। ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছার নির্ধারিত সময়ের ২ মিনিট আগে রাত ৮টা ৪৩ মিনিটে ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশনের ৮ নং প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে।
জেনে কিঞ্চিৎ অবাক হবেন যে, আমার যাত্রার স্থান থেকে ঢাকায় পৌঁছতে আড়াই ঘণ্টা লাগলেও, টিকেট কিনতে হয়েছে আমার স্টেশনের তিন ঘণ্টার পথের পূর্বের স্টেশন থেকে। অনলাইনে টিকেট করার সুযোগ থাকায় এ সুবিধাটা নিতে পেরেছি।
রাজবাড়ী থেকে ০৩ ডিসেম্বরে যখন ০৮ ডিসেম্বরের টিকেটও পাচ্ছিলাম না, একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কুষ্টিয়া কোর্ট, পোড়াদহ, চুয়াডাঙ্গা, দর্শনা হল্ট, কোটচাঁদপুর - এভাবে খুঁজতে খুঁজতে পেছনে যেতে থাকলাম। দেখতে পেলাম, কোটচাঁদপুর থেকে একটি কম্পার্টমেন্ট ১২টি শোভন চেয়ার সিট খালি আছে। ভাড়া টিকেট প্রতি ১২৫ টাকা বেশি লাগলেও রাজবাড়ী থেকে ঢাকার বাস ভাড়ার চেয়ে বেশি না। অথচ জার্নি বাসের চেয়েও আরামদায়ক, সময়ও লাগলো কম।
তবে নিরাশ হওয়ার কারণ নেই। আন্ত:নগর ট্রেন হলেও স্ট্যান্ডিং টিকেট পাওয়া যায় ট্রেন ছাড়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। আড়াই ঘণ্টার রাস্তা দাড়িয়ে আসতেও আশাকরি কষ্ট লাগবে না।
জানাই ছিলো না, ঢাকা থেকে একটা ট্রেন সরাসরি বেনাপোল চলাচল করে। আগে ভাবতাম ট্রেনটি খুলনা-বেনাপোল পথে চলাচল করে। কোনোদিন জানার চেষ্টা করিনি।
০১ ডিসেম্বর থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে যাতায়াত শুরু হওয়ায় জানতে পারলাম।
তবে জানা গেছে এ ট্রেনটি এই পথে অস্থায়ীভাবে চলাচল করছে। ভাঙ্গা থেকে নড়াইল লোহাগড়া হয়ে যশোর পর্যন্ত যে নতুন রেল লাইনের নির্মাণকাজ চলছে সেটি চালু হলে পরবর্তীতে বেনাপোল এক্সপ্রেস সেই পথে চলাচল করবে।
তবে আশা করছি, তখন ঢাকা-রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা রুটে নতুন ট্রেন চালু করবে কর্তৃপক্ষ।