বিশ্বের মুসলিম নারী নেতৃবৃন্দ (পর্ব-৪১) – পাকিস্তান

 

বেনজির ভুট্টো – (খন্ড ১০ এর ২)

বেনজির ভুট্টো

জিয়ার পাকিস্তান

বেনজির ভুট্টো তার বাবার প্রভাবে রাজনীতিতে আসেন। তিনি বলেন; “আমার আগে উপমহাদেশের অন্যান্য মহিলারা তাদের স্বামী, ভাই এবং বাবার রাজনৈতিক ব্যানার তুলে ধরেছিলেন। নারীদের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পরিবারের  উত্তরাধিকার দক্ষিণ এশিয়ার একটি ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছিল। ভারতে ইন্দিরা গান্ধী; শ্রীলঙ্কায় সিরিমাভোই বন্দরনায়েকে; পাকিস্তানে ফাতিমা জিন্নাহ এবং আমার নিজের মা। আমি কখনই ভাবিনি যে এটি আমার জীবনেও ঘটবে”।

 

জুলাই ১৯৭৭ সালে জুলফিকার আলী ভুট্টো সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতায় আসেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সেনা প্রধান মুহম্মদ জিয়া-উল-হকের নেতৃত্বে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে ("অপারেশন ফেয়ার প্লে") ক্ষমতাচ্যুত হন। জুলফিকার এবং বেনজির উভয়েই বিশ্বাস করতেন যে, জিয়ার অভ্যুত্থানে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) সহায়তা করেছিলো। জুলফিকার দাবি করেন যে, ১৯৭৫ সালের একটি বৈঠকে মার্কিন কূটনীতিক হেনরি কিসিঞ্জার তাকে বলেছিলেন তিনি যদি পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য পাকিস্তানের প্রচেষ্টা বন্ধ না করেন তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার "ভয়াবহ নজির” স্থাপন করবে।

 

দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জিয়া সংবিধান স্থগিত করেন। তিনি এমন এক শাসন ব্যবস্থা চালু করেন যা সামরিক শাসনের সাথে সামাজিক কর্মসূচির মিলিত এক জগাখিচুরী মার্কা শাসন ব্যবস্থা। জিয় ইসলামিক মৌলবাদী নীতি অনুযায়ী পাকিস্তানী সমাজের ইসলামীকরণকে আরও সামনে আনেন। সমাজপতি, বুদ্ধিজীবী এবং সাংবাদিকদের গ্রেফতার করা হয়। জুলফিকারকেও প্রাথমিকভাবে এক মাসেরও কম সময়ের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল।

 

করাচিতে জুলফিকারের মুক্তির জন্য এক মিলিয়নেরও বেশি লোকের ভিড় এবং ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রপতির সমর্থনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হওয়ার পরে জিয়া তাকে স্থায়ীভাবে নির্মূল করার সিদ্ধান্ত নেন। জুলফিকারকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয়। জুলফিকারকে ১৯৭৪ সালে তার সরকারের সোচ্চার সমালোচক আহমেদ রাজা কাসুরির পিতা মুহাম্মদ আহমেদ খান কাসুরিকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।

 

অভ্যুত্থানের পর বেনজির ভুট্টোর ভাইদের তাদের বাবার জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছিল। বেনজির ভুট্টো এবং তার মা পাকিস্তানে থেকে যান। যদিও তাদের অল্প সময়ের জন্য বারবার আটক করা হয়েছিল। বেনজির ভুট্টো কারাগারে তার বাবাকে দেখতে যান। তিনি এবং তার মা তাদের বাবার সম্পর্কে একটি বই প্রকাশ করেছিলেন এবং পিপিপি সমর্থকদের তার সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে উত্সাহিত করেছিলেন। তিনি তার প্রতিরক্ষা মামলার প্রস্তুতিতেও সহায়তা করেছিলেন, যা প্রথমে লাহোর হাইকোর্টের চলমান ছিল। সে মামলায় জুলফিকারকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তারপর সুপ্রিম কোর্টও সেই সিদ্ধান্তকে বহাল রাখে। প্রাক্তন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল রামসে ক্লার্ক আইনজীবী হিসেবে বিচারে অংশ নিয়েছিলেন। এটি ছিলো একটি ক্যাঙ্গারু আদালত এবং জুলফিকারের প্রতি ন্যায় বিচার হয়নি।

 

তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঠিক আগে জুলফিকার তার স্ত্রী ও কন্যাকে পাকিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করেন। এপ্রিল ১৯৭৯ সালে জুলফিকারকে ফাঁসির মাহ্যমে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। বেনজির এবং তার মা নুসরাতকে তখন ছয় মাসের জন্য কারারুদ্ধ করা হয়েছিল। মুক্তি পাওয়ার আগে আরও ছয় মাস গৃহবন্দী রাখা হয়েছিল। মা-মেয়ে উভয়ই এপ্রিল ১৯৮০-এ সম্পূর্ণরূপে মুক্তি পায়।

 

অভ্যুত্থানের পর জুলফিকার তার স্ত্রীকে পিপিপির কো-চেয়ারমায়ন নিযুক্ত করেছিলেন। তার আগে ১৯৭৭ সালের অক্টোবরে বেনজির পিপিপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে যোগ দেন। জুলফিকারের মৃত্যুর পর বেনজির দলের সহ-নেতা হয়ে তার ভূমিকা প্রতিস্থাপন করেন। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন চালানো উদ্দেশ্যে পিপিপির নেতৃত্বে মুসলিম লীগ, পিডিপি, মজদুর কৃষাণ পার্টি, ন্যাপশনাল আওয়ামী পার্টি, কওমি মাহাজ-ই-আজাদী, জমিয়ত-ই-উলামা-ই-ইসলাম, এবং তাহরিক-ই-ইস্তিকলাল - ইত্যাদি কয়েকটি দলের সাথে একটি জোট গঠন করেন। জোট চার দফা কর্মসূচির ঘোষণা করে, যথা; (১) সামরিক আইনের অবসান, (২) ১৯৭৩ সালের সংবিধান পুনরুদ্ধার, (৩) সংসদ নির্বাচন এবং (৪) নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর। অনিচ্ছাসত্বেও বেনজির তার পিতার সরকাররর বিরোধিতাকারী দলগূলকেও জোটে যোগদানের অনুমতি দিয়েছিলেন।

 

বিদেশ থেকে তার ভাই মুর্তজা এবং শাহনওয়াজ সশস্ত্র অভিযানের দিকে ঝুঁকে পড়ে। তারা সশস্ত্র “আল জুলফিকার গ্রুপ” প্রতিষ্ঠা করে। গ্রুপের সদস্যদের জিয়ার সামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য হত্যা ও নাশকতা চালানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। “আল জুলফিকার” ১৯৮১ সালে পিআইএ-র বিমান ছিনতাই ঘটনা সংঘটিত করার পর জনারেল জিয়াউল হকের সরকার মার্চ মাসে বেনজির ভুট্টো এবং তার মাকে পুনরায় গ্রেফতার করে। বেনজির ভুট্টো ছিনতাই ঘটনাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি মনে করেছিলেন, এটি জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করেছে। তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছিল যাতে তার ভাইদের সাথে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

 

জুলাই ১৯৮১-এ বেনজিরের মা নুসরাতকে মুক্তি দেওয়া হয় যাতে তিনি বিদেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা নিতে পারেন। বেনজিরকে শুক্কুর কারাগারে স্থানান্তরিত করার আগে করাচিতে কিছু সময়ের জন্য রাখা হয়েছিল এবং তারপর আবার করাচিতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এর বেশিরভাগ সময় তাকে নির্জন কারাবাসে রাখা হতো। তিনি চুল পড়া, স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত সমস্যা সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হন। ডিসেম্বরে তাকে গৃহবন্দী করা হয়। তিনি দুই বছর গৃহবন্দী থাকেন।

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে - জিয়ার শাসনামলের একটি প্রধান মিত্র - পিটার গ্যালব্রেথ ভুট্টোর পক্ষে সমর্থন জোগাতে সাহায্য করেছিলেন। তাদের সাথে রাজনীতিবিদ ক্লেবোর্ন পেলে এবং জেমস বাকলিও ছিলেন। জিয়া যখন ১৯৮২ সালের ডিসেম্বরে ওয়াশিংটন ডিসি সফর করেন তখন তারা বেনজির ভুট্টোর কারাবাসের বিষয়টি তার কাছে উত্থাপন করেন। আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লে জিয়া সরকার তাকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়। তাকে ১৯৮৪ সালের জানুয়ারিতে মুক্তি দেয়া হয় এবং স্বেচ্ছা নির্বাসন হিসেবে জেনেভা যাওয়ার একটি ফ্লাইটে তুলে দেয়া হয়।

 

মুক্তি এবং স্বেচ্ছা নির্বাসন

জেনেভা থেকে ভুট্টো যুক্তরাজ্যে চলে যান। লন্ডনের বারবিকান এস্টেটে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার আগে তার মাস্টয়েডের অস্ত্রোপচার করা হয়। সেখানে তিনি বন্ধুদের সাথে মেলামেশা করেন, কেনাকাটা করতে যান, ডিনার পার্টি হোস্ট করেন এবং সিনেমা দেখতে যান। তার একজন বন্ধু বলেছিলেন, জেলে থাকার সময় তিনি "গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারেন এ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকায় কে যেন তার উপর হঠাৎ ঝাঁপিয়ে পড়েন, ফলে একটু হালকা আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় ছিলেন”। মার্চ মাসে বেনজির ভুট্টো নিউ ইয়র্ক সিটি এবং ওয়াশিংটন ডিসি সফর করেন। সেখানে তিনি গণমাধ্যম এবং মধ্যম সারির সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের প্রশাসন তাকে এড়িয়ে যায়। পরবর্তী কয়েক বররে বেনজির ভুট্টো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি সফর করেন। স্ট্রাসবার্গে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বক্তৃতা করেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভিজিট করেন এবং মক্কায় ওমরাহ পালন করেন।

নির্বাসনে থাকাকালীন বেনজির সেন্ট্রাল লন্ডনের বারবিকান এস্টেটে থাকতেন


নির্বাসনে থাকাকালীন বেনজিরের বাসস্থান পিপিপির জন্য একটি সমাবেশস্থল হয়ে ওঠে। তার ফ্ল্যাটটি নির্বাসিত সদস্যদের বেসরকারী সদর দফতরে পরিণত হয়। এই স্বেচ্ছাসেবকরা জিয়ার শাসনামলে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে আত্মনিয়োগ করেছিলো। বেনজির যদিও পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন ছিলেন, তার দলের অনেক বয়স্ক সদস্য এই পরিস্থিতিতে অসন্তুষ্ট ছিলেন।

 

সমাজতন্ত্রের প্রতি তিনি যথেষ্ট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন না। ভয় পেয়েছিলেন যে, পার্টি ভুট্টো পরিবারের পারিবারিক জমায়েত ছাড়া আর কিছুই হয়ে উঠবে না। মুর্তজা ভাবতেন বেনজির নন, তিনিই নেতা। তিনি তাদের পিতার মনোনীত রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। প্রমাণ হিসেবে তিনি তাকে ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে তার পিতার লারকানা নির্বাচনী এলাকা পরিচালনা করতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন।

 

বেনজির ভুট্টোর জীবনীকার শ্যাম ভাটিয়া মনে করেছিলেন যে, এটি সম্ভবত জুলফিকারের উদ্দেশ্য ছিল, কারণ পরবর্তীরা পাকিস্তানের মতো রক্ষণশীল ইসলামী সমাজে একজন মহিলার নেতা নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবন্ধকতা হিসেবে স্বীকার করতেন। বেনজির তা সত্ত্বেও তার কথাই বজায় রেখেছিলেন যে, তার বাবা সবসময় তাকে একজন রাজনীতিবিদ বানাতে চেয়েছিলেন।

 

জুলাই ১৯৮৫ সালে শাহনওয়াজ ফ্রান্সের কান শহরে অজ্ঞাত ক্রণে মারা যান। বেনজির বিভিন্নভাবে দাবি করেছিলেন, শাহনওয়াজকে তার স্ত্রী রেহানা কর্তৃক হত্যা করা হয়েছিল কিংবা জিয়ার নির্দেশে হত্যা করা হয়েছিল। জিয়ার সরকার আগস্ট মাসে বেনজিরকে তার ভাইয়ের লাশ লারকানায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার জন্য পাকিস্তানে আনার অনুমতি দেয়। দাফনের কিছুক্ষণ পরে বেনজিরকে গ্রেফতার করা হয় এবং নভেম্বর পর্যন্ত করাচিতে গৃহবন্দী রাখা হয়। তারপর তাকে মুক্তি দেয়া হয় এবং ইউরোপে ফিরে যান।

 

১৯৮৫ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানে সামরিক আইন তুলে নেয়া হয় এবং বনজির ভুট্টো দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি এপ্রিল ১৯৮৬ সালে লাহোর বিমানবন্দরে পৌঁছান। একটি বিশাল জনতা তাকে অভ্যর্থনা জানায়। আনুমানিক ২০ লক্ষ মানুষইকবাল পার্কে তার বক্তৃতা শুনতে এবং তাকে দেখতে এসেছিলেন। তিনি জিয়ার শাসনের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করেছিলেন। তারপর তিনি সিন্ধু, পাঞ্জাব এবং বেলুচিস্তান সফর করেন এবং আরও জনতার সাথে কথা বলেন। তার গঠিত জোটের সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করেন। ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে একটি সমর্থক সমাবেশে অংশ নেন। সমাবেশের পর তাকে আবার গ্রেপ্তার করা হয় এবং কয়েক সপ্তাহ ধরে লান্ডি জেলে আটক রাখা হয়।

 

বিয়ে

আসিফ আলি জারদারী(২০০৮ সালের ছবি)


পাকিস্তানে ফিরে তিনি তার মায়ের মনোনীত পাত্র আসিফ আলি জারদারীকে বিয়ে করতে সম্মত হন।  তার মা একজন উপযুক্ত স্বামী হিসেবে আসিফ আলী জারদারিকে নির্বাচিত করেছিলেন। জারদারী ছিলেন একটি জমিদার পরিবারের। তার পিতা সিনেমা শিল্পের সাথে জড়িত ছিলেন এবং সিনেমা নির্মাণের মাধ্যমে অঢেল সম্পদ অর্জন করেছিলেন।

 

বিয়ের অনুষ্ঠানটি ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে করাচির ক্লিফটন প্যালেস গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হয়। ইভেন্টটিকে "পিপলস ওয়েডিং" হিসাবে বিল করা হয়েছিল। একটি বাস্তব রাজনৈতিক সমাবেশে পরিণত হয়েছিল। বিয়েতে লিয়ারি স্টেডিয়ামে পরবর্তী ২ লক্ষ লোক অংশগ্রহণ করেছিল। অনুষ্ঠানটি কালাশনিকভ রাইফেল থেকে ফাঁকা গুলি ছুড়ে উদযাপন করা হয়। তবে ঘটনাক্রমে একজনের মৃত্যু এবং একাধিক আহত হয়।

 

বেনজির ভুট্টো মনে করতেন যে, বিবাহিত হওয়ার কারণে তাকে সম্মানের চোখে দেখা হবে, যা তার নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাকে উন্নত করবে। তিনি তার নতুন স্বামীর নাম ব্যবহার না করে ভুট্টো পরিবারের উপাধি বজায় রেখেছিলেন। বিয়ের পর শীঘ্রই তিনি গর্ভবতী হন এবং তার প্রথম পুত্র বিলাওয়ালের জন্ম হয়।

 

 সুত্রঃ ইন্টারনেট

 

 

 

 

 






Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url