গনতন্ত্র



আমরা সবাই জাতীয়। কেউ দল, কেউ পার্টি, কেউ লীগ।

একটু খুলেই বলি:
আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৯ সালে। তখন সেটা ছিলো গোটা পাকিস্তানের দল।
যতদূর জানি "আওয়ামী" শব্দটা এসেছে উর্দু ভাষা থেকে। আওয়ামী শব্দের অর্থ "জাতীয়"।

এখন আসি আসল কথায়:

এবারের নির্বাচনটা হচ্ছে জাতীয়ভাবে। যেটা বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন। "যার ইচ্ছা নির্বাচনে দাড়াও। যে জিতে আসবে সেই সংসদে বসবে; দল একটাই - বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামীলীগ", সংক্ষেপে "বাকশাল"। যাকে বলে জাতীয়। এক জাতি, একদল। এক মত। এক পথ।

কোনো দলাদলি নাই। আমরা এক জাতি। জাতীয়ভাবে সরকার গঠন হবে। সবাই মিলেমিশে দেশ চালাবে।

এটাকেই অনেকে "নকশাল"এর অনুকরণে ব্যাঙ্গ করতো। এক নায়কতন্ত্রের গুজব ছড়াতো। অথচ ওই সময়ে নকশাল ছিলো একটি "আন্ডারগ্রাউন্ড" চোরাগোপ্তা দল। রাতের অন্ধকারে যেখানে সুযোগ পেতো, মেরেকেটে, লুটেপুটে খেতো। যাকে বলে ডাকাতি।

বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠিত হলে খারাপটা কি হতো? আজ নমিনেশন নিয়ে, প্রতীক নিয়ে মনোমালিন্য হতো না। মানুষ যাকে ভোট দিতো সেই নির্বাচিত হতো।

এবারের নির্বাচনে শেখ হাসিনার কিছুটা সেই নীতি অনুসরণের করছেন পূর্বাভাস বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে।

আশা করছি, একটি ভালো ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের সুন্দর একটি জাতীয় সরকার গঠিত হবে।

যারা নির্বাচনের বাইরে থাকবে তারা দেশের মঙ্গল চায় না। তারা যেনতেনভাবে শুধু ক্ষমতায় যেতে চায়। ক্ষমতায় গিয়ে ক্ষুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে দেশকে আবার পঁচাত্তর পরবর্তী অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়। দেশের মধ্যে অরাজকতা কায়েম করতে চায়। খুনখারাবির মহোৎসব করতে চায়।

এদের পরিচয় জাতির কাছে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে অজানা নেই।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url