বাংলাদেশ রেলওয়ে'র উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি
স্মরণকালের ইতিহাসে বাংলাদেশ রেলওয়ে'র উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি
পদ্মা সেতু দিয়ে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া হয়ে চলবে আরো দূটি ট্রেন
পদ্মা সেতু দিয়ে চলছে ট্রেন |
“সাপের কামড়েই সাপুড়ের মৃত্যু হয়”
বাংলাদেশের
ভালো চায় না কেউ! সামান্য সুবিধাভোগীরাও ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেয়। তারা ইতিহাস
থেকে শিক্ষা নেয় না। তাদের স্মরণ রাখা উচিৎ, “সাপ নিয়ে খেলা করে যে সাপুড়ে তার সাপের
কামড়েই মৃত্যু হয়"।
এযাবৎকালের
ইতিহাসে যা জেনেছি, স্বার্থ হাসিলের পর সব বেইমানকেই "মীর জাফরের"
পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে।
যা লিখতে গিয়ে কথাগুলি এসে গেলো:
রেল
ব্যবস্থা একেবারে ধ্বংস করে ফেলেছিলো বিএনপি সরকার। সেই রেল বর্তমানে বাংলাদেশের
সর্বকালের রেকর্ড অতিক্রম করে সনৈ সনৈ গতিতে এগিয়ে চলেছে।
০১
ডিসেম্বর থেকে আরো দুটি নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে পদ্মা সেতু দিয়ে।
প্রথমটি:
"নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস"
“সাপের কামড়েই সাপুড়ের মৃত্যু হয়”
বাংলাদেশের
ভালো চায় না কেউ! সামান্য সুবিধাভোগীরাও ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেয়। তারা ইতিহাস
থেকে শিক্ষা নেয় না। তাদের স্মরণ রাখা উচিৎ, “সাপ নিয়ে খেলা করে যে সাপুড়ে তার সাপের
কামড়েই মৃত্যু হয়"।
এযাবৎকালের
ইতিহাসে যা জেনেছি, স্বার্থ হাসিলের পর সব বেইমানকেই "মীর জাফরের"
পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে।
যা লিখতে গিয়ে কথাগুলি এসে গেলো:
রেল
ব্যবস্থা একেবারে ধ্বংস করে ফেলেছিলো বিএনপি সরকার। সেই রেল বর্তমানে বাংলাদেশের
সর্বকালের রেকর্ড অতিক্রম করে সনৈ সনৈ গতিতে এগিয়ে চলেছে।
০১
ডিসেম্বর থেকে আরো দুটি নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে পদ্মা সেতু দিয়ে।
প্রথমটি:
"নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস"
চলবে
খুলনা-ঢাকা–খুলনা। ট্রেনটি খুলনা-দৌলতদিয়া রুটে চলাচল করছিলো। মেইল ট্রেন, তবে
দুয়েকটি স্টেশন বাদে সব স্টেশনেই থামবে।
নকশীকাঁথা মেইল ট্রেনটি খুলনা থেকে
রাত সাড়ে ১১টায় ছেড়ে পরেরদিন সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকা পৌঁছবে। ফিরতি পথে ঢাকা থেকে
বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে খুলনা পৌঁছবে রাত ১০টা ১০ মিনিটে।
গমনাগমন
পথঃ
§ খুলনা
§ দৌলতপুর
§ নোয়াপাড়া
§
যশোর
§
মোবারকগঞ্জ
§
কোটচাঁদপুর
§
সায়দারপুর
§
আনসারবাড়ীয়া
§
উথলী
§
দর্শনা হল্ট
§
চুয়াডাঙ্গা
§
মুন্দিগঞ্জ
§
আলমডাঙ্গা
§
হালসা
§
পোড়াদহ জংশন
§
কুষ্টিয়া কোর্ট
§
কুষ্টিয়া
§
কুমারখালী
§
খোকসা
§
মাছপাড়া
§
পাংশা
§
কালুখালী জংশন
§
বেলগাছি
§
রাজবাড়ী
§
খানখানাপুর
§
আমিরাবাদ
§
ফরিদপুর
§
বাবুয়া
§
তালমা
§
পুখুরিয়া
§
ভাঙ্গা
§
ভাঙ্গা জংশন
§
শিবচর
§
পদ্মা
§
মাওয়া
§
শ্রীনগর
§
নিমতলী
§
গেন্ডারিয়া
§ ঢাকা (কমলাপুর)
যাত্রী ওঠা-নামার সুবিধা না থাকায় ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে আপাতত যাত্রাবিরতি থাকবে না।
"মধুমতি এক্সপ্রেস"
চলবে
রাজশাহী–ঢাকা-রাজশাহী রুটে। ট্রেনটি সব স্টেশনে থামবে না। ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাজশাহী পৌঁছতে সময় লাগবে প্রায় ৮ ঘণ্টা। এর আগে মধুমতি এক্সপ্রেস রাজশাহী-দৌলতদিয়া
রুটে চলতো। বর্তমানে চলছে রাজশাহী-ভাঙ্গা রুটে। আগামী ০১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী-ঢাকা
রুটে চলাচল করবে।
আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী থেকে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকা পৌঁছবে দুপুর ২টায়। একই ট্রেন ঢাকা থেকে দুপুর ৩টায় ছেড়ে রাজশাহী পৌঁছবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে। বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে।
গমনাগমন পথঃ
§ রাজশাহী
§ ইশ্বরদী
§ পাকশী
§ ভেড়ামারা
§ মিরপুর জংশন
§ কুষ্টিয়া কোর্ট
§ কুমারখালী
§ খোকশা
§ পাংশা
§ কালুখালী জংশন
§ রাজবাড়ী
§ পাঁচুরিয়া জংশন
§ আমিরাবাদ
§ ফরিদপুর
§ তালমা
§ পুখুরিয়া
§ ভাঙ্গা
§ ভাঙ্গা জংশন
§ শিবচর
§ পদ্মা
§ মাওয়া
§ ঢাকা (কমলাপুর)
বর্তমানে যাত্রী ওঠা-নামার সুবিধা না থাকায় এ ট্রেনটিরও আপাতত ‘ভাঙ্গা জংশন’ স্টেশনে যাত্রাবিরতি থাকবে না।
ট্রেনটির সপ্তাহের বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে।
কুষ্টিয়া-রাজবাড়ীর যাত্রীদের জন্যঃ
ই্তোমধ্যে মধ্যে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী
জেলার উপর দিয়ে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস চলাচল করছে। ট্রেনদুটির স্টপেজ
কম হওয়ার কারণে এই দুই জেলার সম্পূর্ণ বাসিন্দা তার সুবিধা ভোগ করতে পারছিলো না। তাছড়া
বর্তমানে দুটি ট্রেনেই আসন বরাদ্দ কম থাকায় অনেক যাত্রী যাতায়াতের সুযোগ পায় না।
নকশীকাঁথা ও মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনদুটি চালু হলে কুষ্টিয়া এবং রাজবাড়ী উভয় জেলাবাসী
সরাসরি ট্রেনে ঢাকা যাতায়াতের সুবিধা পাবে।
রাজবাড়ীর যাত্রীদের জন্যঃ
নকশীকাঁথা মেইল ট্রেনটি খুলনা থেকে
রাত সাড়ে ১১টায় ছেড়ে রাজবাড়ী পৌঁছবে পরেরদিন সকাল ৭টায় এবং ঢাকা থেকে বেলা ১১টা ৪০
মিনিটে ছেড়ে রাজবাড়ী পৌঁছবে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে।
আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি
রাজশাহী থেকে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে রাজবাড়ীতে পৌঁছবে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে। ঢাকা
থেকে বিকেল ৩টায় ছেড়ে রাজবাড়ি পৌঁছবে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে।
এই
লেখকের আশা আছে ০১ ডিসেম্বরেই অথবা তার পরে শীঘ্রই “মধুমতি এক্সপ্রেস” ট্রেনযোগে
নিজ স্টেশন "কালুখালী জং"এ যাওয়ার।
পরিশেষেঃ
দেশ
যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে; যদি কোনো বাধা না আসে, যদি কোনো "মীর জাফর" বেইমানি
করার সুযোগ না পায়;- এভাবেই একদিন খুলনা, রাজশাহী কিংবা রেলওয়ের মূল ঘাঁটি উত্তরবঙ্গ
থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করবে ট্রেন।