"ভোলানাথ, আরো কি কিছু আছে?"
ছবি প্রতিকী |
"এক ঠাকুর মশাই
সারাদিন এখানে সেখানে ঘুরে কারো কাছ থেকে কোনো নেমন্তন্ন না পেয়ে শেষমেষ স্বেচ্ছা
নেমন্তন্নের 'মন্ত্র' প্রয়োগ করে আস্তানা গাড়লেন নিরীহ দরিদ্র ভোলানাথের কূঁড়েঘরে।
ভোলানাথের স্ত্রী অযাচিতভাবে ঠাকুর মশাইয়ের আগমণকে কল্যান হিসেবেই নিলো এবং
সাধ্যমত রান্নাবান্না করলো।
রাতের আহারের
সময় ঠাকুর মশাই খাচ্ছে, ভোলানাথ একে একে এটাসেটা এনে দিচ্ছে। ভোলানাথের স্ত্রী
একটু পরপর বেড়ে দিচ্ছে আর দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে ঠাকুর মশাইয়ের খাওয়া দেখছে আর
কল্যানের আশায় ঠাকুরের আশির্বাদ প্রার্থনা হিসেবে মাঝে মাঝে প্রণামের ভঙ্গিতে দুহাত
উঁচিয়ে কপালে ঠেকাচ্ছে।
খেতে খেতে
ইতোমধ্যে ভোলানাথের স্ত্রীর পাতিলের অবস্থা শূণ্য। নিজেদের জন্যও অবশিষ্ট কিছু
নাই। শেষবারের মতো বেড়ে দিয়ে এখন আর ঠাকুরের সামনে কেউ নাই। সবাই ঘরের ভেতরে।
ভোলানাথের স্ত্রী এবার ঠাকুর বন্দনা বাদ দিয়ে ভগবানকে ডাকছে আর বলছে, "হরি হে
রক্ষা করো! ঠাকুর সেবা করে যে পূণ্য কামাতে চেয়েছিলাম তা বুঝি বিফলে যায়!
কিন্তু বিধি
বাম!
ঠাকুর মশাই
সামনে কাউকে না দেখে প্লেটে হাত নাড়াচাড়া করে সময় কাটাচ্ছে। সময় গড়িয়ে যাচ্ছে,
কারো কোনো সাড়াশব্দ নাই। উপায়ন্তর না দেখে জোরে হাঁক দিলো ঠাকুর মশাই; "ভোলানাথ,
আরো কি কিছু আছে”?"
সমাবেশ,
সহ-সমাবেশ, মৌন সমাবেশ, মহা সমাবেশ, পথসভা, 'ধর্মসভা', রোডমার্চ, লং মার্চ, হরতাল, লাঠিখেলা,
জোলাপাতি খেলা, অবরোধ, প্রতিরোধ, 'অনুরোধ' সব তো শেষ। "মির্যা সাহেব, আরো কি
কিছু আছে?"
থুক্কু মির্যা
সাহেবের দৃশ্যের তো যবনিকাপাত ঘটে গেছে! বিএনপির অবশিষ্ট নেতাদের উচিৎ আজীবন অবরোধ
ডেকে গা ঢাকা দেয়া!
বাকিটা ২০১৪ সালের মতো
জনগন বুঝে নেবে।