বিএনপির জাতীয়তাবাদী মিথ্যাচার!

 

জোসেফ গোয়েবলসের কথা,-  "একটি মিথ্যাকে শতবার বললে, মিথ্যাও প্রতীয়মান হয় সত্য বলে।"


জেনারেল জিয়ার গণভোটের পোষ্টার


১) বিএনপি ১৯৭৫ এর খুনিদের সাহায্যে ক্ষমতায় গিয়েছে।

২) বিএনপি খুনিদের বিচার চাওয়া যাবেনা মর্মে মোশতাক কর্তৃক জারিকৃত "ইনডেমেনিটি অধ্যাদেশ" আইন হিসেবে ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদে বিল পাশ করেছে।

৩) বিএনপি ১৯৭৫ এর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনিদেরকে বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকুরী দিয়েছে।

৪) বিএনপি বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে পার্লামেন্টে স্থান করে দিয়েছে।

৫) বিএনপি খুনিদের লিভ টু আপিল সুপ্রিম কোর্টে শুনানি যেনো না হয়, সেই কারণে তালিকা থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার শুনানি বাদ দিয়েছে এবং আপিলেট ডিভিশনে প্রয়োজনীয় বিচারক নিয়োগ দেয় নাই।   

৬) ২০০৪ সালে ক্ষমতায় থেকে ২১ আগষ্ট আর্জেস গ্রেনেড ছুড়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্দানকারী রাজনৈতিক দলটার প্রধানসহ সবাইকে মেরে ফেলতে চেয়েছে। সে ঘটনা ধামাচাপা দিতে “জজ মিয়া নাটক” সাজিয়েছে। বিএনপি নেত্রী পরেরদিন পার্লামেন্টে মুচকি হেসে বলেন, “শেখ হাসিনা ভ্যানিটি ব্যাগে বোমা নিয়ে নিজেই তার জনসভায় বোমা মেরে সরকারকে বিপাকে ফেলতে চেয়েছে”। এই হত্যাযজ্ঞের সাথে জড়িত থাকা তৎকালিন সরকারের মন্ত্রীরা সেদিন হাসাহাসি করেছে।

৭) তদন্তকারী ‘গৃহপালিত’ বিচারক প্রতিবেশী দেশের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে!

 

সামরিক শাসনের প্রবক্তা জেনারেল জিয়াকে "বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা" এবং আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল করার অনুমতিদাতা হর-হামেশা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলে থাকেন।

এ কথাটি সর্বৈব মিথ্যাচার। কারণ, সে সময়ে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ছিলেন বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম।

 

১৯৭৬ সালের ২৮ জুলাই বিচারপতি সায়েমের সামরিক সরকার রাজনৈতিক দলবিধি জারি করে।

 

৩০ জুলাই থেকে শুরু হয় ঘরোয়া রাজনীতি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৬ সালের ২৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্যসহ নেতৃবৃন্দের আনুষ্ঠানিক বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামে দল পুনরুজ্জীবিত করা্র সিদ্ধান্ত নেয়া হয় (বাকশালের পরিবর্তে)। পূর্বোক্ত কমিটির সভাপতি এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে পঁচাত্তরের ৩ নভেম্বর কারাগারে হত্যা করা হয়। এরূপ পরিস্থিতিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমদকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়।

 

খুনী খন্দকার মোশতাকের নবগঠিত ডেমোক্র্যাটিক লীগ ও স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সরকারী অনুমোদন পেলেও আওয়ামী লীগকে নিয়ে টালবাহানা করা হয়।

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণা পত্রে উল্লিখিত ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি বাদ দেয়ার জন্য পত্র দেয়া হয়।

যাই হোক, শেষ পর্যন্ত বিচারপতি সায়েম-এর সরকারের আমলেই ১৯৭৬ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার অনুমতি প্রদান করা হয়।

 

অনির্বাচিত, স্বঘোষিত ও অবৈধ জেনারেল জিয়া কিভাবে গণতান্ত্রিক? আর এই অবৈধ অগনতান্ত্রিক সেনা শাষক মেজর জিয়া কিভাবে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয়?

 

মেজর জেনারেল জিয়া ‘জাতীয়তাবাদী মিথ্যাচার’ দিয়ে বাংলাদেশে একটি দল প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা খুবই দুঃখ জনক। জাতির নীতি নৈতিকতাকে বিকিয়ে দিয়ে একটি ভুল ও বিভ্রান্তির ইতিহাসের পাঠ দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে বিএনপি।

 

সামরিক শাসক মেজর জেনারেল জিয়া সরকারী চাকুরী করেন, সরকারী খরচে এক দলীয় নির্বাচন করেন, যাকে বিএনপি বলে বহুদলীয় গনতন্ত্র।

 

এক জন সামরিক সেনাশাসক, যিনি এক দিনের জন্য মিটিং-মিছিল করেন নাই, জেল-জলুম খাটেন নাই, করেন নাই আন্দোলন-সংগ্রাম, মোট কথা রাজনীতি কখনো করেন নাই।

 

সামরিক শাসক মেজর জেনারেল জিয়া ১৯৫৩ সালে চাকুরীতে প্রবেশ করে ১৯৮১ সালে ৩০মে মৃত্যু পর্যন্ত ২৮ বছর, এমন কী মুক্তিযুদ্ধের সময়ও চাকুরীর বেতন খেলেন। এবার ভেবে দেখেন, তিনি রাজনীতিবিদ নাকি সরকারী চাকুরীজীবী?

 

উচ্চ আদালত তার শাসনকালকে অবৈধ শাসনকাল হিসেবে এবং তাকে অবৈধ সেনা শাসক হিসেবে রায় দিয়েছেন।

 

বিএনপি বলে থাকে “জিয়াউর রহমান এক ক্রান্তিকালে দেশের শাসন ক্ষমতা হাতে নেন।”

১৯৭৫ সালে দেশে কোনো ক্রান্তিকাল ছিলোনা। বরং ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে দেশে ক্রান্তিকাল তৈরী করা হয়েছিল এবং সেই ক্রান্তিকাল তৈরীতে মাস্টার মাইন্ড ছিলেন মেজর জেনারেল জিয়া। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার ৮ দিনের মাথায় ২৪ শে আগষ্ট খুনীদের পছন্দে সেনাপ্রধান পদটি দেয়া হয় মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে।

 

“গভীর সংকটকালে জিয়াউর রহমানের ওপর শাসন ক্ষমতা অর্পিত হয়।”

ডাঁহা মিথ্যা কথা। সত্য হলো ১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর রাতে পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপতি ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মদ আইযুব খান যেভাবে রাতের আঁধারে প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জার কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিলেন - ঠিক তেমনিভাবে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানও ১৯৭৬ সালে ২৮ নভেম্বর রাতের আঁধারে সদলবলে বঙ্গ ভবনে উপস্থিত হয়ে ক্যূ-এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট সায়েম-এর কাছ থেকে জোর করে ‘প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের’ পদটি কেড়ে নিয়েছিলেন। শুধু কি তাই! উচ্চাভিলাষী মেজর জেনারেল জিয়া নিরঙ্কুশ ক্ষমতা পাওয়ার জন্য সেনা বাহিনীর কাঁধে চড়ে ১৯৭৭ সালে ২১ শে এপ্রিল রাষ্ট্রপতি সায়েমকে পুরোপুরি ছাঁটাই করে বেতার ঘোষণার মাধ্যমে দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন।

মেজর জেনারেল জিয়া তখন নিজে একাধারেঃ

·       একটি দেশের রাষ্ট্রপতি

·       প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং

·       সেনা প্রধান

অর্থাৎ তার কপালে একসাথে ৩টি পালক! যা বিশ্বের ইতিহাসে নাই।

 

“জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার নতুন এক রূপকার।”

না, জিয়া কোনোভাবেই বহুদলীয় গনতন্ত্রের রূপকার ছিলেন না। বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নস্যাৎ ও নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে স্বাধীনতা বিরোধী নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলামি, পিডিপি, মুসলিম লীগ (কাইয়ুম, কনভেনশন, কাউন্সিল) ও ইসলামি দলগুলির জন্য সংবিধান সংশোধন ও নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে বাংলার মাটিতে "স্বাধীনতা বিরোধী বিষবৃক্ষ" রোপন করেছিলেন।

 

বন্দুকের নলের আগায় ইস্কান্দার মির্জার কাছ থকে ক্ষমতা দখলকারী প্রেসিডেন্ট আইউব খান যেমন ১৯৫৯ সালে ২৭ "বুনিয়াদী গণতন্ত্রের" নামে গনভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা ‘বৈধ’ করতে চেয়েছিলেন। একই আদলে জেনারেল জিয়াও ১৯৭৭ সালের ৩০ মেভোটারবিহীন   "গনভোট"-এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট পদে তার অধিষ্ঠান ‘জায়েজ’ করতে চেয়েছিলেন! 




সামরিক শাসক মেজর জেনারেল জিয়া সরকারী চাকুরী করে প্রেসিডেন্টের পদে থেকে সরকারী খরচে ভোটারবিহীন "গনভোট" করেন। বিএনপি এটাকে বলে "বহুদলীয় গনতন্ত্র"!

 

বিএনপির জাতীয়তাবাদী রাজনীতি মিথ্যার উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। এই ভিত্তি মজবুত করার জন্য তাদের যা যা করা দরকার সব করেছে। তাদের পুঁজি হলো, “জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক”! অথচ সবাই জানে এটি মিথ্যা। তিনি ২৭ তারিখ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণাপত্রের পাঠক মাত্র। চট্টগ্রামের তৎকালীন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের প্রথম পাঠক। এই নামটি যতো উচ্চারিত হবে বিএনপির দাবীটি ততো মিথ্যা প্রমাণিত হবে।

 

বেগম খালেদা জিয়ার জন্মস্থান, জন্মদিন, শিক্ষাগত যোগ্যতা মিথ্যাচারে ভরপুর।

১) জন্মস্থানঃ ফেনী-জলপাইগুরি- দিনাজপুর।

২) শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ এইচএসসি, দশম শ্রেণী, স্ব-শিক্ষিত।

৩) জন্মদিন ৫ টি যথাঃ

(ক) ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পত্রিকায় প্রকাশিত জীবন বৃত্তান্ত এবং পাসপোর্ট অনুযায়ী ১৯ আগষ্ট ১৯৪৫

 

(খ) ম্যাট্রিক পরীক্ষার মার্কশীট অনুসারে ১৯৪৬ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর।

গ) বিবাহের রেকর্ড অনুযায়ী ৯ আগষ্ট ১৯৪৪।

(ঘ) করোনা টেস্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী ১৯৪৬ সালের ৮ মে।

(ঙ) কেক কেটে উদযাপন করেন ১৫ আগষ্ট।

 

১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যাসহ পরিবারের সকল সদস্যদের হত্যার বেদনাদায়ক দিনে কেক কেটে নিজের ভুয়া জন্মদিন পালন করে জাতির কলঙ্কিত দিনকে পরিহাস করেছেন। জাতির সাথে করেছন বেইমানি।

 

এছাড়া তিনি নিজেকে এইচএসসি পাস দাবি করেন, যদিও শিক্ষাবোর্ডের ডকুমেন্ট (মার্কশীট) অনুসারে তিনি ম্যাট্রিকে ‘অকৃতকার্য’ হয়েছিলেন।

 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের খুনিদের যারা রক্ষা করেছিলো, চাকুরী দিয়েছি্লো, খুনিদের বিচার চাওয়া যাবে না বলে যারা আইন পাশ করেছিলো, খুনিদের সমর্থনকারী হিসেবে তারাও খুনি। খুনিদের সুরে সুর মিলিয়ে যারা গান গেয়েছি্লো, কবিতা পড়েছিলো, সাংবাদিকতা পেশায় ছি্লো তারাও খুনি। খুনিদের রাজনীতি ও পেশা বলে কিছু নেই। খুনিদেরকে খুনি বলতে হয়।

 

যে দলের জন্ম অবৈধভাবে, যে দলের প্রধান ১ জন দশম শ্রেণী পাশ, আরেকজন ১১ ক্লাস। যে দলের অধিকাংশ কর্মী দলছুট,- কিছু ডান, কিছু বাম, কিছু ‘হাঁপ’ মৌলানা, কিছু ‘হাঁপ’ মুক্তিযোদ্ধা, কিছু ফুল রাজাকার, তারা কি করে সঠিক ইতিহাস জানবে কিংবা জানার চেষ্টা করবে?

 

জয় বাংলার প্রায় প্রতিটি মানুষের মনে এই একটি বিশেষ দলের প্রতি ক্ষোভ ও ঘৃণা জমে আছে। যারা আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমির সাথে বারবার বেঈমানি করেছে। যারা স্বাধীনতার গৌরবময় ইতিহাসকে বিকৃত করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা চালিয়েছে। তারা পেছনের দরজা দিয়ে আবারো ক্ষমতায় আসার জন্য পা চাটছে বিদেশী বেনীয়াদের।

আসুন আমরা ঐক‍্যবদ্ধ হয়ে সকল প্রকার অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।

 

যে জাতির মুক্তির সংগ্রাম সূচিত হয়, ভাষন আর গানে, আজীবন সেই সত্য ও সুন্দরের সাথে থাকতে চাই।

স্বপ্ন দেখি সুন্দর আগামীর, স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ-মানবিক বাংলাদেশের।

৭১ এর ঘৃণ্য গনহত্যার কথা যারা মেনে নিতে সংকোচ বোধ করে, ৭১ এর জল্লাদদের মন্ত্রী বানানোর পরও যারা ক্ষমা চাইতে লজ্জাবোধ করে, প্রকারান্তরে জঙ্গি সন্ত্রাসীদের কৌশলগত সমর্থন দান করে; তাঁদের মুখোশ উম্মোচন করতে হবে এবং তা করা প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের কর্তব্য।

 

‘আপনি দেশকে স্বাধীনতার মূলনীতি থেকে সরে গিয়ে জাতিকে দুর্দশায় নিমজ্জিত করতে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিকে প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ করে দিতে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করবেন, তাঁর আত্বীয়স্বজনকে মেরে ফেলবেন, জাতির জনকের কন্যাকেও হত্যা করার চেষ্টা করবেন আর স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারি দল হয়ে আমরা সহনশীলতার পরিচয় দেবো, সমঝোতা করবো! খুনিদের সাথে আবার সমঝোতা কি’?

 

এতসবের পরেও একদল উচ্ছিষ্টভোগী ও অধুনা চিপায় পড়া নিরপেক্ষতার ধজ্বাধারীরা শুধু শেখ হাসিনাকেই বলতে থাকে, “সমঝোতার রাজনীতি করতে হবে”!

 

লিখেছেনঃ Jemey Hafiz 

সম্পাদনাঃ আতাউর রহমান খান

 

 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url