বিশ্বের মুসলিম নারী নেতৃবৃন্দ (পর্ব-২৫)-বাংলাদেশ

 

সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ

সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ(সামনের জন)

সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ (১৮ এপ্রিল ১৯৩৬-১৫ নভেম্বর ২০১৩) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করেন।


সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ ১৯৩৬ সালের ১৮ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামের একটি বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ বদরুদ্দুজা ছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র এবং বঙ্গীয় আইনসভা ও ভারতের লোকসভার সদস্য। তার পিতামহ সৈয়দ আব্দুল গফুরের দিক থেকে তিনি ছিলেন ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলীর বংশধর।

 

সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বিদেশে বেশ কয়েকটি প্রতিনিধি দলে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।

পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের সাথে চীন সফরে রাজিয়া ফয়েজ

পাকিস্তান কূটনৈতিক প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে চীন সফর করেন সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ। ছবিতে চীনা কম্যুনিষ্ট প্রধান ও চীনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মাও সেতুং এবং প্রধানমন্ত্রী চৌ-এন-লাইয়ের সাথে রাজিয়া ফয়েজকে দেখা যাচ্ছে (মাঝের সারির বাম থেকে প্রথমে)।

 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজিয়া ফয়েজ জাতিসংঘেও পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের সাথে অংশ নিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর তাকে গৃহবন্দী করা হয়।

 

জিয়ার শাসন আমলে ১৯৭৯ সালে রাজিয়া ফয়েজ আবদুস সবুর খানের প্রাক্তন নির্বাচনী এলাকা থেকে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হন। ঘটনাচক্রে তিনিই বাংলাদেশের প্রথম, যিনি সরাসরি ভোটে নির্বাচিত মহিলা সংসদ সদস্য।

 

তার বোন সৈয়দা সাকিনা ইসলামও একই সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের মনোনীত/নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।

 

১৯৮৯ সালে তিনি এরশাদ সরকারের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।

 

ব্যক্তিগত জীবন

রাজিয়া ফয়েজ পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল ফয়েজের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের একটি মেয়ে - ফওজিয়া আলম ও দুই ছেলে - ওসমান এরশাদ ফয়েজ এবং আমান আশরাফ ফয়েজ।

 

মৃত্যু

রাজিয়া ফয়েজ ১৫ নভেম্বর ২০১৩ মারা যান।


 



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url