দুবাইয়ের রাজকুমারী শেখা মাহরা

 

শেখা মাহরাঃ (জন্ম ২৬ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৪{২৯ বছর})

শেখা মাহরা


শেখা মাহরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক মহামান্য শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কন্যা। তিনি একজন সুপরিচিত রাজকন্যা, সমাজসেবী ও ব্যবসায়ী। অসংখ্য দাতব্য সংস্থার সাথে যুক্ত থাকার কারণে তিনি তার মানবিক প্রচেষ্টার জন্য সুপরিচিত। অনলাইনে তার প্রভাব ছোখে পড়ার মতো।




শেখা মাহরা ২৬ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স এখন ২৯ বছর। তিনি দুবাইয়ের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। রাজকুমারী পরে লন্ডনে চলে যান। সেখানে তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতক হন। তার স্নাতক দিবসের একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টের ক্যাপশন ছিল, "পারিবারিক সমর্থনই সবকিছু।"




রাজকুমারী ক্রমাগত তার ইনস্টাগ্রাম পেজে তার ছবি পোস্ট করেন এবং পোষ্টগুলি তার মায়ের সাথে শেয়ার করে্ন। 


ভিডিও



রাজকুমারী্র তার মায়ের সাথে একটি দৃঢ় বন্ধন রয়েছে। তার মা ‘জো গ্রিগোরাকোস’ তার স্বামী শেখ মোহাম্মদের কাছ থেকে তালাকপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর বেশি আর কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।


 



শেখা মাহরার একটি ভাই রয়েছে, নাম হামদান বিন মোহাম্মাদ আল মাকতুম।






শেখা মাহরার মা গ্রিগোরাকোস গ্রীস দেশীয়। সেকারণে শেখা মাহরা আমিরাত এবং গ্রীক সংস্কৃতির মিশ্রনে বড় হয়ে ওঠেন। তার পরিবারের অন্যান্য মহিলা সদস্য হিজাব পরিধান করলেও তাকে কোনো অনুষ্ঠানে হিজাব পরিহিত অবস্থায় দেখা যায় না, যা উক্ত সাংস্কৃতির প্রতিফলন বলে প্রতিয়মান হয়। 



শেখা মাহরার একটি বিশেষ শখ হলো ঘোড়দৌড়। প্রায়ই তাকে ঘোড়দৌড়ে অংশ নিতে দেখা যায় এবং তার প্রিয় ঘোড়ার সাথে ছবি তুলে পোষ্ট দিতে দেখা যায়। দেখে মনে হয় ঘোড়ার প্রতি তার ভালবাসা তার বাবার মতোই। অর্থাৎ “যেমন বাবা, তেমন মেয়ে”।




রাজ কুমারী সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের দৃঢ়চিত্ত শিশুদের মাঝে ভালোবাসা ছড়াতে এবং তাদের সাথে প্রায়ই বৈকালিন অময় কাটাতে দেখা যায়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনি এরূপ একটি শিশুকে জড়িয়ে ধরে হাসছেন এবং যার একটি ছবি তিনি ইন্সটগ্রামে শেয়ার করেছেন। তার জনহিতকর প্রচেষ্টা সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে।

 রাজকুমারী মহিলাদের পক্ষে একজন উকিল এবং আইকন হিসেবে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়ে থাকেন যা সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্থানীয় ডিজাইনারদের ক্ষমতায়নের জন্য পরিচিত।


শেখা মাহরা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদেরকে তার বহুমুখী জীবনাচরণের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। তার ব্যক্তিগত এবং পেশাদার কৃতিত্বের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলি ক্যাপচার করেছেন। বিদেশে তার শখ এবং শিক্ষা, তার পরিবার এবং জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠান ইত্যাদি বিষয়ের উপর বিভিন্ন মিডিয়া তথ্য প্রকাশ করেছে।


বিবাহ

রাজকুমারী সম্প্রতি শেখ মানা আল মাকতুমের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। ২৭ মে ২০২৩ তারিখে ‘দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে’র ‘সাঈদ হলে’ বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।  নববধূকে তার বিয়ের দিনে বরাবরের মতো মার্জিত দেখাচ্ছিলো। তিনি সাদা সূচিকর্ম করা একটি ‘ইথেরিয়াল এজরা কউচার বলগাউন’ পরেছিলেন।




পূর্বেই ঘোষণা করা হয়েছিল, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কন্যা শেখ মাহরা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম এবং শেখ মানা বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ বিন মানা আল মাকতুম আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহিত। ২৭ মে ২০২৩ তারিখে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়।



বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার পাঁচ মাস পরে শেখা মাহরা ইনস্টাগ্রামে একটি আল্ট্রাসাউন্ডের ছবি শেয়ার করে ইনস্টাগ্রামে আনন্দের সংবাদ ঘোষণা করেছন। মাহরা ছবির ক্যাপশনে লেখেন, "শুধু আমরা তিনজন,"। তাতে শেখ মানাকে ট্যাগ করেছিলেন। মানা সেটি আবার শেয়ার করেছেন।


শেখ মানা জিসিআই রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি, এমএম গ্রুপ অফ কোম্পানি, দুবাই টেক, এবং আলবারাদা ট্রেডিংয়ের মতো অনেক ব্যাবসার সাথে জড়িত। তার সফল এবং প্রশস্ত পোর্টফোলিও ছাড়াও শেখ মানা তার ইন্সটগ্রাম প্রোফাইলে এসব দুঃসাহসিক ধরনের তথ্য দেখতে পাওয়া যায়।

 



২৯ বছর বয়সী মানাকে প্রায়শই বাজপাখির প্রতি তার ভালবাসা প্রদর্শন করতে দেখা যায়। শৈশবথেকেই তার এ ভালোবাসা লালিত। তিনিও তার নতুন স্ত্রীর মতো একজন প্রখর ঘোড়া দৌড় উৎসাহী এবং ঘোড়দৌড় দেখার প্রতি তার ভালবাসা রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও নতুন বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনী-ন্যাশনাল সার্ভিসে এক বছর কাজ করেছেন।












Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url