বিশ্বের মুসলিম নারী নেতৃবৃন্দ (পর্ব-১১)-বাংলাদেশ

 

সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন

সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন

সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন: (২৪ ডিসেম্বর ১৯৩২ - ২০ ডিসেম্বর ২০১৩) ছিলেন বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সহধর্মিনী । তিনি ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

জোহরা তাজুদ্দীন ১৯৩২ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবার সান্নিধ্যে কিশোরী বয়স থেকেই সমাজকর্মের প্রতি মনোনিবেশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন।

 

জোহরা তাজুদ্দীন ১৯৫৮ সালে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী হিসেব তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করেন। ১৯৫৯ সালে তাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে বিয়ে হলে স্বামীর রাজনৈতিক জীবনের সহযোদ্ধায় পরিণত হন।

তিনি ১৯৬৮ সালে গঠিত রাজবন্দি সাহায্য কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে  একজন সংগঠক হিসেবে ভূমিকা রাখেন।

 

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু এবং পরে একই বছরের ৩ নভেম্বর কারাগারের তার স্বামী তাজউদ্দীনসহ চার জাতীয় নেতা হত্যার পর বাংলাদেশে ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তিনি আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। ১৯৭৭ সালে তিনি দলের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। সেই সময় সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দলের সভাপতি নির্বাচিত হলে এবং দেশে ফিরে দলেএ এলে জোহরা তাজুদ্দীনকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত করা হন। সেই থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন।

 

জোহরা তাজুদ্দীন ১৯৫৯ সালে তাজউদ্দীন আহমদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের চার ছেলেমেয়ে রয়েছে, তারা হলেন; শারমিন আহমদ রিতি (বড় মেয়ে), সিমিন হোসেন রিমি (মেজো মেয়ে), মাহজাবিন আহমদ মিমি (কনিষ্ঠা মেয়ে) ও তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ (কনিষ্ঠ পুত্র)।

 

মৃত্যু

২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

(সূত্রঃ ইন্টারনেট)