বিশ্বের মুসলিম নারী নেতৃবৃন্দ (পর্ব-৮)-বাহরাইন

 

লতীফা আল গাউদ

লতীফা আল গাউদ


লতিফা আল গাউদ বাহরাইনের একজন রাজনীতিবিদ। ২০০৬ সালে তিনি বাহরাইনের প্রতিনিধি পরিষদে নির্বাচিত প্রথম মহিলা প্রার্থী। তার নির্বাচনী এলাকার অন্য দুই প্রার্থী প্রচারণা শুরুর আগে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যাওয়ার পর তিনি বিনা প্রতিদ্বন্তিতায় জয়ী হন।

 

তিনি উপসাগরীয় অঞ্চলের প্রথম মহিলা যিনি আইনসভার সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তিনি দক্ষিণ গভর্নরেট-এর ষষ্ঠ নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন। তার পূর্ববর্তী নির্বাচনী ব্যর্থতার কারণে তিনি ২০০৬ সালে তার নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য একটি ভিন্ন আসনে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি বর্তমানে বাহরাইনের প্রতিনিধি পরিষদের একমাত্র মহিলা সদস্য।

 

লতীফা ১৯৯৬ সালে নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। তিনি মিশরের হেলওয়ান ইউনিভার্সিটি এবং ভার্জিনিয়ার ডারডেন গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে ডিপ্লোমাও করেছেন। তিনি বাহরাইনের অর্থ মন্ত্রণালয়ে কাজ করতেন।


নাদা হাফফাদ

নাদা হাফফাদ

নাদা হাফফাদ বাহরাইনের প্রথম মহিলা ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ২০০৪ সালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন। সেপ্টেম্বর ২০০৭ পর্যন্ত তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। তার পূর্বে তিনি বাহরাইনের সংসদের উচ্চকক্ষ উপদেষ্টা পরিষদে দায়িত্ব পালন করেন।

 

জীবনী

হাফফাদ মিশরে এবং আয়ারল্যান্ডের রয়্যাল কলেজ অফ সার্জনসে মেডিসিন বিষয়ে অধ্যায়ন করেন। বাহরাইনে ফিরে আসার আগে একজন ডাক্তার এবং প্রশাসন উভয় ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য কাজ করার অনুশীলন করেন।

 

সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালে সরকার ইসলামপন্থী-অধ্যুষিত সংসদে সমালোচকদের শান্ত করার চেষ্টা করেছি্লো এবং এমপিদের সাথে সংঘর্ষে জড়িত মন্ত্রীদের অপসারণ করেছিল। ওই সময় হাফফাদকেও মন্ত্রিসভা থেকে বদলি করা হয়েছিলো।

 

হাফফাদ মূলত ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে পদত্যাগ করেছিলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ তদন্তের জন্য একটি সংসদীয় কমিশন গঠন করা হয়। কানাডিয়ান কাউন্সিল ফর হেলথ অ্যাক্রিডিটেশন দ্বারা বাহরাইনের স্বাস্থ্য পরিষেবার অডিট করা হয়। উক্ত কমিশনের সদস্যদের মধ্যে মোহাম্মদ খালিদ এবং জসিম আল সাইদি অন্তর্ভুক্ত ছিল। তারা কমিশনকে হাফফাদের ব্যাপারে ইন্ধন যুগিয়েছি্লো।

 

যাইহোক, হাফফাদ বাহরাইন মেডিকেল সোসাইটির সমর্থন পেয়েছিলেন। তারা সংসদীয় তদন্তের বিরোধিতা করেছিলো। তারা বিশ্বাস করেছি্লো যে, এটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। সোসাইটির একজন কর্মকর্তা বলেছিলেন; "তদন্ত কমিটি মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম এবং ত্রুটিগুলি তদন্ত করছে না। আসলে তারা লক্ষ্যবস্তু করেছে মন্ত্রীকে। বরং মন্ত্রণালয়ের বিষয়গুলি উন্নতির জন্য তার প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ আমাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য।

 

হাফফাদ বাহরাইনের শিয়া সম্প্রদায়ের একজন সদস্য। তিনি বাহরাইনের সুপ্রিম কাউন্সিল ফর উইমেনের সাথে নারী অধিকারের জন্য সক্রিয় প্রচারণা চালিয়েছেন। 


(সূত্রঃ ইন্টারনেট)

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url