গরীবের ভ্রমণ বিলাস (পর্ব-২৪)

 



‘আমাদের শৈশব-কৈশোরে গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে রেডিওই ছিলো গান এবং দেশ বিদেশের খবরাখবর শোনার প্রধান মাধ্যম। ‘কলেরগান’ নামে খ্যাত গ্রামোফোন যন্ত্র তখন বিলুপ্তপ্রায়। টেলিভিশনেরতো এদেশে জন্মই হলো ১৯৬৪ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। গান পাগল মানুষ হিসেবে রেডিও শুনতে বসলে নভ ঘুরাতে ঘুরাতে নভের সূতো পর্যন্ত ছিঁড়ে যাবার উপক্রম হতো’।

 

‘তখন বাংলাদেশের ঢাকা রাজশাহী ছাড়া আর যে সব বাংলা রেডিও শুনতাম সেগুলোর মধ্যে আকাশবাণী কোলকাতা এবং আকাশবাণী শিলিগুড়ি ও আগরতলা অন্যতম। শিলিগুড়ি রেডিও থেকে কোলকাতার অনুকরণেই অনুষ্ঠান প্রচারিত হতো’।

 

‘আরও দেখেছি গোয়ালন্দ, রাজবাড়ি থেকে উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রাম জেলার চিলাহাটি পর্যন্ত একটি ট্রেন চলাচল করতো। ট্রেনটির নাম ছিলো ‘শিলিগুড়ি’। শুনেছি ট্রেনটি নাকি ব্রিটিশ আমলে বর্তমান পশ্চিম বাংলার শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাতায়াত করতো। ১৯৪৭ এ দেশ বিভাগের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু নামটা লোকমুখে থেকেই যায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর অদ্যাবধি ট্রেনটির নাম শিলিগুড়িই রয়ে গেছে। এখন অবশ্য ট্রেনটি সাময়িকভাবে বন্ধ আছে’।

 

উপরে বর্ণিত কারণগুলোর জন্যে শিলিগুড়ি নামটির প্রতিও আমার একটু দুর্বলতা ছিলো। সড়কপথে নেপাল বা দার্জিলিং যেতে যেহেতু শিলিগুড়ি হয়েই যেতে হয়, সেহেতু সেখানে একদিন যাত্রা বিরতি দিয়ে ঘুরেফিরে দেখার ইচ্ছে ছিলো। পরে অবশ্য ট্র্যানজিট ভিসার মেয়াদ স্বল্পতার কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি।

 

বুড়িমারী-চেংড়াবান্ধা বন্দরে বর্ডারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেরিয়ে যানবাহনের দিকে এগোতেই দেখা গেলো ছো্টো ছোটো কিছু যানবাহন শিলিগুড়ি বা সরাসরি নেপাল বর্ডার, ভারত-ভুটান বর্ডারের জয়গাঁও ইত্যাদি একেকটা একেকদিকে যাওয়ার জন্যে অপেক্ষা করছে। তাদের দিকে এগোতেই ট্যাক্সিতে শেয়ারে যেতে আহ্বান জানালো কেউ কেউ। শেয়ারে গেলে কোনো সমস্যায় পড়তে হয় কিনা এসব ভাবছিলাম। এমন সময় এক যানবাহন শ্রমিক কাছে এসে একটি গাড়িতে বসা যাত্রীর দিকে দেখিয়ে বললো, ‘উনি আপনাকে ডাকছেন’। এগিয়ে গিয়ে দেখলাম, বর্ডারে চেকিংএর সময় লাইনে দাঁড়িয়ে যে লোকটিকে চেনা মনে হয়েছিলো সেই লোক। লোকটি স্ত্রী ও এক সন্তান সমেত দার্জিলিং বেড়াতে যাচ্ছে এবং দার্জিলিং পর্যন্ত একটি ট্যাক্সিক্যাব রিজার্ভ করেছে। তার আরেক সন্তান দার্জিলিং থেকে লেখাপড়া করে, তাকে দেখতে যাচ্ছে। কাছে গেলে সে তার গাড়িতে উঠতে আহ্বান জানালো।

 

অতি পরিচিত নারায়ণগঞ্জের এক গারমেন্টস মালিক। আগে ক্লিন শেভ করতো। দশ বছর পরে মৌছ সমেত দেখে চিনতে পারিনি। কিন্তু সে আমাকে চিনেছে। গাড়িতে ওঠার সময় যখন বলছিলো, ‘আপনি আমাকে না চিনলেও আমি আপনাকে ঠিকই চিনেছি’ তখন লজ্জাই লাগছিলো।

 

চেংড়াবান্ধা থেকে তিস্তা ব্রীজের উপর দিয়ে শিলিগুড়ি যেতে হয়। ঘন্টা দু’য়েকের মধ্যে শিলিগুড়ি পৌঁছে গেলাম। সংগী গার্মেন্টস মালিক অগেও কয়েকবার দার্জিলিং এবং সড়কপথে নেপাল গিয়েছেন। তাই সব রাস্তা তার জানা। আমাদেরকে নেপাল বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিয়ে তিনি সরাসরি দার্জিলিং-এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।

 

শিলিগুড়ি ট্যাক্সি বা জীপ স্ট্যান্ডে নেমেই দেখলাম পরিবহন শ্রমিকরা নেপাল নেপাল বলে ডাকছে। দুপুরের খাবারের সময় হয়ে গেলেও শেষে কাঠমুণ্ডর বাস না পাই, সে ভয়ে না খেয়েই প্যাসেঞ্জার বহনকারী এক প্রকার লম্বা জীপে গিয়ে বসলাম।

 

গাড়িতে ওঠার সময় পরিচয় হলো সিকিম থেকে আসা এক ছেলের সংগে। তার মা’কে নিয়ে কাঠমুণ্ড বোনের বাসায় বেড়াতে যাচ্ছে। ’ভারতের সিকিম রাজ্য নেপাল ঘেঁসেই এগিয়ে গেছে অথচ তাদেরকে কেন এতোদূর ঘুরে যেতে হচ্ছে’ জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম, ‘আগে সরাসরি এপার ওপার যাতায়াত করা গেলেও বর্তমানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কারণে এতো কড়াকড়ি। সিকিম ও নেপালের সীমান্ত ঘেসে কাছাকাছি গ্রামে অনেকের আত্মীয় স্বজন থাকলেও এখন আর সরাসরি যেতে পারছে না। যদিও তাদের পাসপোর্ট-ভিসা লাগে না, তবুও পশ্চিম বাংলা হয়ে রাণীগঞ্জ-কাকরভিটা সীমান্ত দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে’।

 

‘যতদূর দেখেছি, কোলকাতায় কিছু সিএনজি চালিত বেবী ট্যাক্সি ছাড়া পশ্চিম বাংলার অন্যান্য পরিবহনের গাড়িগুলি ডিজেল বা পেট্রোলে চলে। তেলে চললেও শিলিগুড়ি দার্জিলিং ঘুরে দেখেছি, যাত্রী পরিবহনের গাড়িগুলি সরকার নির্ধারিত ভাড়া ছাড়া অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে সুযোগ পেলেই যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে না।

 

শিলিগুড়ি থেকে এক ঘন্টার কিছু বেশি সময়ে নেপাল বর্ডারে পৌঁছে আমরা নেমে গেলাম বর্ডার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে রাণীগঞ্জ ইমিগ্রেশন অফিসে। যে গাড়িতে এসেছিলাম গাড়িটি সরাসরি চলে গেলো নেপালের কাকরভিটা।

 

রাণীগঞ্জে দেখলাম নেপালী পন্য বিশেষ করে শাক সবজির বাজার বসেছে। অপরদিকে নেপালের দূরদূরান্ত থেকে সবাই শিলিগুড়িতে কেনাকাটা করতে আসে।

 

প্রকৃতিগতভাবেই বোধহয় ভারত এবং নেপালের সীমানা নির্ধারিত। রাণীগঞ্জ ও কাকরভিটা বর্ডারের মাঝখানে ছোট একটি নদী আছে। ভারতের মহানন্দা নদীর শাখানদীর ওখানকার স্থানীয় নাম মেছি। মেছি নদীর ওপরে নির্মিত আনুমানিক ৫০০ মিটার দীর্ঘ সেতুর সাহায্যেই দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত ব্যবস্থা স্থাপিত। তবে কোনো ভারী যানবাহন চলাচল করতে দেখিনি।

 

রাণীগঞ্জ থেকে সেতু পার হয়ে কাকরভিটা যাওয়ার জন্যে বাংলাদেশের আদলে তৈরী নেপালী রিকশা পাওয়া যায়। ভাড়া নেপালী মূদ্রায় ১০ টাকা। স্থানীয়রা অনেকেই বাইসাইকেলে যাতায়াত করে। ভারতীয়রা কেউ কেউ তাদের নিজস্ব যানবাহন অর্থাৎ প্রাইভেট কার, মটরসাইকেল ইত্যাদি বর্ডারে লিপিবদ্ধ করে যাচ্ছে, আসছে।

 

বর্ডারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ওপারে যাওয়ার বাহনের অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু কোনো খালি রিকশাই পাওয়া যাচ্ছিলো না। ভেতরের কো্নো বাজার থেকে সব রিকশা ভর্তি হয়ে আসছিলো। মেছি ব্রীজের এপারে দাড়িয়েই নেপাল প্রবেশের গেট দেখা যাচ্ছিলো। যদিও ক্ষুদা পেটে কাতর, তবুও ভাবলাম হেঁটে ইন্ডিয়া থেকে নেপাল যাওয়ার একটা অভিজ্ঞতা হোক। অবশেষে পদব্রজেই গমন।

 

কাকরভিটা ইমিগ্রেশন অফিসে তেমন ভিড় নেই। আগেই বলেছি, ভারত-নেপাল ওপেন বর্ডার। ইন্ডিয়া ছাড়া দুএকজন ভিনদেশী নাগরিক গেলে একটু সিল ছাপ্পড় মারে। নইলে সারাদিন বসেই কাটে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের। আমরা গিয়ে দেখলাম অফিসের সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি বাইরে। খবর পেয়ে এসে তাড়াতাড়ি দুই পাসপোর্টে দুই সিল মেরে দিলো।

 

কাকরভিটা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে মনটা একটু খারাপ হয়ে গেলো। ভেবেছিলাম লম্বা জার্নি, দেখেশুনে একটু আরামদায়ক বাসে যাবো। কিন্তু স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখি আমাদের দেশের মুড়ির টিনের মতো সব বাস। স্থানীয় ভাষায় ‘ভলভো’ নাম্মী একটি বাস সবচেয়ে উঁচুমানে। গাড়িটিও ভল্ভো কোম্পানির। কিন্তু একদম পেছনে ছাড়া তাতে সিট খালি নেই। দেরী করলে সেটাও হারাতে পারি এবং ফলশ্রুতি আগামীকালের বাস। বাধ্য হয়ে পেছনের সিটের টিকেট নিয়েই পাশের এক হোটেলে দুপুরের খাবার খেলাম বিকেল চারটায়।

 

দ্রুত আহার সেরে বাসে গিয়ে বসলাম। বাসে উঠেই দেখা পেলাম শিলিগুড়ি থেকে একই গাড়িতে আসা সিকিমের সেই মহিলা, যে ছেলের সাথে কাঠমুণ্ড মেয়ের বাসায় যাচ্ছিলো। আমাদের দেখেই মহিলাটির চোখ সজল হয়ে উঠলো। তার ছেলেকে দেখতে না পেয়ে কুশল বিনিময়ের পর জিজ্ঞেস করতেই একটু দূরে অন্য সিটে বসা ছেলে বিনয়ের সাথে বলে উঠলো, ‘স্বাগতম জনাব, আমি এখানে’। জিজ্ঞেস করে জানা গেলো, একটিমাত্র ভালো বাসই কাকরভিটা থেকে কাঠমুণ্ড ছেড়ে যাবে এবং সেই বাসে যাওয়ার জন্যেই বিলম্ব। তবে একত্রে সিট না পেয়ে মা, ছেলে আলাদা আলাদা সিটে বসতে হয়েছে।……………….........(চলবে)

(২০১১ সালের ঘটনা। লেখা ২০১৪ সালে)

 

 

গরীবের ভ্রমণ বিলাস-৪১

ভলভো নাম্মী বাসটি আসলেও ছিলো ভলভো কোম্পানীর তৈরি। বাইরে ততোটা চাকচিক্য না থাকলেও মোটামুটি আরামদায়ক ছিলো। পেছনের সিটে বসাতেও তেমন অসুবিধা হয়নি। বাস জার্নিতে আমি কখনও না ঘুমালেও আগের রাতেও জেগে জার্নি করায় ক্লান্তি ছিলো, তাই মাঝে মাঝে ঝিমোচ্ছিলাম। তবে যতক্ষণ দিনের আলো ছিলো নেপালের গ্রামীণ পরিবেশ দেখতে দেখতে যাচ্ছিলাম। হিমালয়ের দেশ নেপালে কিছুদূর পরপরই ছোট ছোট স্রোতস্বিনী নদী নজরে পরছিলো। কাকরভিটা থেকে কাঠমুন্ডু প্রায় অর্ধেক রাস্তা সমতল, তারপর থেকে পাহাড়ী উচুনিচু রাস্তা। আগেও বলেছি, শীতপ্রধান দেশের মানুষের জীবনীশক্তি বেশি। নেপালীদের জীবনীশক্তিও একটু বেশি বলেই মনে হয়েছে। একজন ড্রাইভার ষোল থেকে আঠারো ঘন্টা বাস চালিয়েও ক্লান্তি নেই। ফেরত আসার দিন দেখেছি, ‘দূরপাল্লার বাস হলেও পোখরা-কাকরভিটার মাঝামাঝি এক জায়গা থেকে বাসের ছাদে টমেটো বোঝাই করে আনতে যেটা ভারতের পশ্চিম বাংলার বাজারগুলোতে সরবরাহ করা হয়। স্বয়ং ড্রাইভারকে দেখেছি বাসের ছাদে উঠে টমেটোর বস্তা সাজাতে। টমেটোর লোভনীয় ট্রিপ ধরার জন্যে পোখরা থেকে কাকরভিটা ৬০০ কিঃমিঃ রাস্তা আসতে সেদিন ১৬ ঘন্টার জায়গায় আঠারো ঘন্টা লাগিয়েছিলো’। রাতে বাসে চলার সময় একটা বিষয় লক্ষ্য করেছিলাম; আমাদের দেশে গাড়ির ডানপাশের ইন্ডিকেটর লাইট দেখালে বুঝতে পারি, গাড়িটি ডানে যাবে বা সামনে পর্যাপ্ত জায়গা নেই তাই ওভারটেক করতে নিষেধ করছে। কিন্তু ওদের দেশে গাড়ির ডানপাশের ইন্ডিকেটর লাইট দেখানো মানে, ‘তোমাকে ওভারটেক করার সুযোগ দিলাম’।

কোলকাতা শিলিগুড়িতে হোটেলের খাবারের ধরন ও দাম আমাদের ঢাকার মতোই। কিন্তু নেপাল আমাদের চেয়ে অনুন্নত দেশ হলেও হোটেলে খাবারের দাম অনেক চড়া। ২০১১ সালে দেখেছি মুরগীর মাংশ দিয়ে একজন ভাত খেতে আড়াই’শ টাকা লাগতো। শুধু সবজি দিয়ে খেলেও কমপক্ষে ৮০/১০০ টাকা লাগতো। নেপালে যে ৩/৪ দিন ছিলাম কোথায়ও মাছের দেখা মেলেনি। তবে নেপালের কোন হোটেলে সাধারন চালের ভাত দেখিনি, সবখানেই বাসমতী চালের ভাত। আমাদের দেশের মতোই যাত্রাপথের মাঝামাঝি পয়েন্টে বড় বড় খাবারের হোটেল আছে। খাবার বিরতি ছাড়াও পথে দুই/তিন জায়গায় চা বিরতি দেয়।

‘চায়ের উৎপত্তি চীন দেশে। চায়ের ইংরেজি নাম tea হলেও চীনা ভাষায় বলে ‘চার’(char)। আমাদের দেশে সেটা পরিশুদ্ধ হয়ে বাংলায় হয়েছে ‘চা’, হিন্দী বা উর্দুতে ‘চায় বা চায়ে’। নেপালে গিয়ে দেখলাম ‘চা’কে তারা বলে ‘চিয়া’। বিষয়টা জেনেও ভাবলাম চা আর চিয়া পাশাপাশি উচ্চারণ তাই চা বললে বোঝে কি না দেখি। কৌতূহলবশতঃ যাত্রাপথে চা বিরতিতে চা পান করতে গিয়ে এক মহিলা দোকানীকে চা দিতে বললে বুঝতে পারলোনা। পরে ওদের ভাষায় চিয়া বলে বোঝাতে হয়েছিলো।

গল্পের এই পর্যায়ে এসে একটি কথা বলতে ইচ্ছে করছে। ইংরেজি কিছু অক্ষরকে আমরা শব্দভেদে ভিন্ন ভিন্ন উচ্চারণ করি। যেমন; ইংরেজি ‘টি’ কে আমরা ক্ষেত্রবিশেষে ‘ট’ বা ‘চ’ উচ্চারণ করি। তেমনি ‘জি’ কে কোন কোন শব্দে ‘জ’ আবার কোন কোন শব্দে ‘গ’ উচ্চারণ করি। কিন্তু ফিলিপিনোদের সাথে কথা বলে দেখেছি ওরা ‘জি’ কে সবখানেই ‘গ’ উচ্চারণ করে। যেমন; আমরা ইংরেজি Register কে রেজিষ্টার বলি, কিন্তু ফিলিপিনোরা বলে ‘রেগিষ্টার’। আমার মনেহয় tea শব্দটাও আমাদের দেশে ইংরেজিতে ‘টি’ উচ্চারণ করলেও ইংরেজি ‘টি’ অথবা চীনা ‘চার’ থেকে বাংলায় চা’তে রূপান্তরিত হয়েছে। এভাবেই হয়তো এলাকা বা ভাষাভেদে শব্দের বিবর্তণ ঘটেছে(এটা কোন গবেষনার ফলাফল নয়, সম্পূর্ণ আমার মস্তিস্ক থেকে উৎসারিত। সঠিকটা বিশেষজ্ঞরা বলতে পারবেন).........(চলবে)।

 

 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url