হিজাবের ফাঁসে ইরানের মেয়েরা : আরো কঠোর আইন পাশ
ছবি : প্রতীকী |
ইরানে আরো কঠোর হিজাব আইন পাশ। আগের আইনে জেল ছিলো ১০ দিন থেকে
দুইমাস। জরিমানা ছিলো বাংলাদেশী টাকায় সর্বোচ্চ ১৩৫০ টাকা। বর্তমান আইনে ৫ থেকে ১০
বছর পর্যন্ত জেল। জরিমানা বাংলাদেশী টাকায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা।
এক বছর আগে সঠিকভাবে হিজাব না পরায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ২২ বছরের মাহসা
আমিনিকে। পুলিশ হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। তারপর ইরানের মেয়েরা পৃথিবীর যে যেখানে ছিলো
সেখান থেকে তার প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। ফ্রান্সে না কোন এক দেশে এক মেয়েকে বিবস্ত্র
অবস্থায় প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। এক বছরের মাথায় তার "ফল" ঘোষিত হলো!
শুধু হিজাব পরাই নয়, ‘সতীত্ব’ বজায় রাখতে হবে মেয়েদের। চারিত্রিক শুদ্ধতা বজায় না রাখলেই
শাস্তি। তবে মাথা যথাযথ ভাবে ঢাকা না হলে তা সর্বোচ্চ অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
কোনো সেলেব্রিটি যদি আইন ভাঙেন, তাহলে তার শাস্তি আরো কঠিন। ওই ব্যক্তির সম্পদের দশ
ভাগের এক ভাগ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে সরকারকে। একটি নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য তিনি
কাজকর্ম করতে পারবেন না এবং বিদেশ সফরে যেতে পারবেন না। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে
পারবেন না।
কোনো ব্যবসায়ী যদি তার দফতরের মহিলা কর্মীদের হিজাব পরায় ছাড় দেন, তাহলে ব্যবসার তিন
মাসের লভ্যাংশ জরিমানা করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়, প্রশাসনিক দফতর, পার্ক, পর্যটন কেন্দ্র, হাসপাতালগুলিতে নারী-পুরুষ
অবস্থান বা বিচরণের বিষয়ে পৃথক অবস্থান বা দূরত্বের বিষয় আরো স্পষ্ট করা হবে।