মুসলমানদের চাঁদ কি বিধর্মীদের দখলে!
"ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডিং পয়েন্টের নাম রেখেছেন শিবশক্তি পয়েন্ট। অনেকের ধারণা
অনুযায়ী সেখানে হনুমান এবং শিব লিঙ্গ রেখে আসার সম্ভাবনাও একবারে উড়িয়ে দেয়া
যায় না।
যদি এমনটাই চলতে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ একটা বড়
ধরনের জটিল সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসবগুলোর তারিখ নির্ধারিত হয় নতুন পবিত্র চাঁদ
দেখার ওপর নির্ভর করে।
মুসলমানরা যে হিজরি সন ব্যবহার করে সেটাও চন্দ্রবর্ষপঞ্জী নির্ভর।
মুসলমানদের বড় বড় ধর্মীয় উৎসব যেমন পবিত্র মাহে রমজান ঈদুল ফিতর
ঈদুল আজহা সবই চাঁদ দেখাদেখির উপর নির্ভর করে।
লাইলাতুল কদর, শবেবরাত ও আশুরার তারিখও নির্ধারিত হয় চাঁদ দেখার
মাধ্যমে। ইসলামের বিধান মোতাবেক, এসব গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালিত হয় হিজরি সনের
মাসের হিসাবে।
আর হিজরি সন চান্দ্রবর্ষপঞ্জি নির্ভর। নতুন চাঁদ দেখা
চান্দ্রবর্ষপঞ্জির মাস ও তারিখ নির্ধারিত হয়।
তাই নতুন চাঁদ দেখা মুসলমানদের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।
সেকারনে স্বাভাবিকভাবেই ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মনে কিছু প্রশ্ন কৌতুহলবশত
জেগে উঠার কথা।
বিধর্মীদের চন্দ্র অভিযানে চন্দ্রে বিধর্মী নামকরণ এবং বিধর্মীদের
উপাসনার সামগ্রী ও দেবদেবীর মূর্তি ব্যবহার করার কারণে দীর্ঘদিন ধরে আগলে রাখা
তাদের এই পবিত্র চাঁদ মুসলমানদের জন্য এখন ভীষণ অপবিত্র হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা
কতটুকু?
আর ভবিষ্যতে বিধর্মীদের কর্তৃত্বে থাকা এই অপবিত্র চন্দ্রের উপর
নির্ভর করে মুসলমানদের চন্দ্রবর্ষপঞ্জি এবং ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করা কতটুকু জায়েজ
হবে?
আশা করি এদেশের বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার এবং আলেম ওলামাগন এই
সাংঘর্ষিক ব্যাপারগুলি আমাদের কাছে অতি শীঘ্রই ক্লিয়ার করবেন।
এদেশের তৌহিদী জনতা আপনাদের ফতোয়া শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা
করছে।"
লিখেছেন: Syed Tanveer