ভাঙ্গার নাম পরিবর্তণ সময়ের দাবী
ভাঙ্গার নাম
পরিবর্তণ এখন সময়ের দাবী
"ভাংগা(Broken)"
কোনো স্থানের নাম হতে পারে! অথচ বাংলাদেশের একটি উপজেলার নাম ভাঙ্গা,
যেটা বর্তমানে
একটি প্রসিদ্ধ স্থানে পরিনত হয়েছে।
পদ্মা সেতু
নির্মিত হওয়ায় ভাঙ্গার নাম এখন দেশের গন্ডিতে সীমাবদ্ধ নাই।
এক সময়ের অবহেলিত
এলাকার নাম এখন আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত।
পদ্মা সেতুতে
রেল চলাচল শুরু হলে জনযোগাযোগের ব্যাপকতা আরো বাড়বে।
একটি দৈনিক
পত্রিকার ফিচারে দেখলাম
পদ্মা সেতু
হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথ ছয়টি রেলপথের সংগে যুক্ত হবে।
সেই হিসেবে
রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা
এবং খুলনা, যশোরের বেনাপোলের একমাত্র জংশন হবে ভাঙ্গা। সূত্রমতে ভারতে যাওয়ার মৈত্রী
ট্রেনও এ পথ ব্যবহার করার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাই যদি হয়
তাহলে ভাঙ্গা হবে দেশ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের একটি অন্যতম সংগমস্থল বা জংশন।
ভাঙ্গা কুমার
নদীর তীরে অবস্থিত।
কুমার নদী
ছোট একটি নদী।
কথিত আছে কুমার
নদীর পারে কুমারগঞ্জ নামে একটি বিরাট হাট বসতো।
কোনো এক সময়
হাটকে কেন্দ্র করে কুমার নদীর দুইপারের লোকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগে।
দ্বন্দ্বের
এক পর্যায়ে কুমারগঞ্জের হাট ভেঙ্গে নদীর অপরপারে হাট চালু করে।
চালুকৃত হাটের
নাম অবশষে ভাঙ্গার হাট নামে পরিচিতি পায়।
সেই থেকেই
ওই জায়গার নাম হয় ভাঙ্গা।
ভাঙ্গা বর্তমানে
উপজেলা এবং দেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ ও উল্লেখযোগ্য একটি স্থানের নাম।
ফরিদপুরের
আরেকটি থানার নাম ছিলো পালং।
আমিও এক সময়
বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা ছিলাম।
এলাকার লোকদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, যখন বইপত্রে পড়তাম
এবং লোকমুখে “ভাঙ্গা” এবং “পালং” নামদুটি শুনতাম।
কেমন যেনো
ব্যতিক্রম মনে হতো যে একটা জায়গার নাম আবার 'ভাঙ্গা' হয় কিভাবে!
যাইহোক, অবশেষে
পালং এর নাম পরবর্তন করা হয়।
ফরিদপুর জেলায়
৪ টি মহকুমা ছিলো, যথাঃ ফরিদপুর, গোয়ালন্দ, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ।
দেশের সব মহকুমাকে
জেলায় উন্নীত করার সময় অতিরিক্ত আরো ৪ টি ঙ্গুপজেলাকে সরাসরি জেলায় উন্নীত করা হয়।
তারমধ্যে ফরিদপুরের
পালং একটি। জেলা করার সময় পালং এর নাম পরিবর্তন করে সেখানকার কৃতি সন্তান ফরায়েজী আন্দোলনের
অন্যতম নেতা হাজী শরীয়ত উল্লাহ’র নামানুসারে ‘শরীয়তপুর’ রাখা হয়।
পালং এর নাম
পরিবর্তন করা গেলে ভাঙ্গার নাম কেনো পরিবর্তন যাবে না?
অতএব, ভাঙ্গার
নাম পরিবর্তণ এখন সময়ের দাবী।
নামকরণের ক্ষেত্রে
ভাঙ্গার পুরাতন নাম “কুমারগঞ্জ” অথবা ওই এলাকার কৃতি সন্তান
মুক্তিযুদ্ধের
উপর বিখ্যাত প্রামান্য ছায়াছবি “মুক্তির গান” এর নির্মাতা, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন
চিত্রনির্মাতা
তারেক মাসুদের নামানুসারে “তারেক নগর” বা “মাসুদ নগর” নামকরণ করা যেতে পারে।