পিতা তোমায় ভোলেনি জাতি - Drhassan Mahmud
যিনি তর্জনী উঠিয়ে স্বাধীন করেছিলেন এই দেশকে, যার উদাত্তকন্ঠের আহবানে ঝাপিয়ে পড়েছিলো বাংলার দামাল সন্তানেরা, সেই মহান নেতার হত্যাযজ্ঞে মৃত্যু নিশ্চিত করতে শয়তানের শাবকেরা ১৮ টি গুলি ব্যবহার করেছিলেন,,,,
হত্যা করা হয়েছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের গোটা পরিবারকে মর্মান্তিক ভাবে নিষ্ঠুরতার সাথে যা ইতিহাসে বিরল।
২৪ ঘন্টার অধিক সময় নিথর দেহগুলো পড়েছিলো ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের সেই বাড়ীটিতে,,,,
এক দিন অতিবাহিত হওয়ার পরদিন অর্থাৎ ১৬ আগষ্ট দুপুর ২ ঘটিকায় টুঙ্গিপাড়ার সেই সমাধীতে তাকে দাফন করা হয়, যে সমাধীসৌধ বা মাজার দেখার জন্যে, একটু ফাতেহা পাঠ করে দোয়া করে মনে প্রফুল্ল নিয়ে বের হয় সকলেই আজ তাদের জাতির জনকের জন্যে।
যেভাবেই হোক বা যে কারণেই হোক সকলেই যেতে চায় সেই গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ায়।
হত্যাকারীদের হিসেব ছিলো সেই অজপাড়াগাঁয়ে কে আর যাবে, কেই বা তাকে মনে রাখবে। অথচ আজ দেখুন সকলেই আমরা অন্তত একবার হলেও যাওয়ার চেষ্টা ও চিন্তা করি।
অন্যদিকে,
শেখের বেটির সাহসীকতায় পদ্মা সেতু হওয়াতে এখন সময় লাগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী হইতে সর্বোচ্চ ২ বা আড়াই ঘন্টা। যেখানে যেতে লাগতো কমপক্ষে ৬-৭ ঘন্টা।
যাহোক,
মূল প্রসঙ্গে আসি -
সাড়ে সাত কোটি জনগনের মাঝে সেদিন সাহস করে কেউ এগিয়ে যায়নি তাদের প্রিয় নেতাকে উদ্ধারে অথবা বাচানোর পক্রিয়ায় অথচ তখন কিন্তু সবাই ছিলো আওয়ামী লীগ যেমন এখনও সবাই আওয়ামী লীগ।
একজন ফেরেশতা সমতুল্য মানুষ যিনি নিজের জীবনের বেশীর ভাগ সময় কাটিয়েছেন কারাবাসে শুধুমাত্র জনগনের ভাগ্যোন্নয়নে লড়াই সংগ্রাম করে,
যার দুঃসাহসের কাছে পাত্তা পায়নি সেসময়কার বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশগুলোর অন্যতম পাকিস্তানী সেনাবাহিনী। অথচ সেই মহানায়ক টিকে নিজের ঘরেই লাশ হয়ে নিথর দেহ পড়ে থাকতে হয়েছে এগিয়ে যায়নি কিন্তু কেউ।
কেনো!!!!!
উত্তর নেই।
কি উত্তর দিবেন সে সময়ের সেনাপ্রধান?
কি উত্তর দিবেন রক্ষী বাহিনী তথা রক্ষীবাহিনী প্রধান?
কি উত্তর দিবেন সে সময়ের আওয়ামী লীগের নেতারা?
খালি তো বড় বড় কথাই শুনি,,,,,,
অথচ কার কি সাহস সেটা জাতি অবগত আছে।
কেনো!
এই কেনোর উত্তর কিন্তু ভালো ভাবেই অনুধাবন করতে পেরেছেন তারই সুযোগ্যা কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এটাই এই বাঙ্গালী জাতির সবচাইতে বড় পাওয়া।
যেকারণে দেশ চলছে দূর্বার গতিতে উন্নয়নের মহাসড়ক পাড়ি দিয়ে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে।
১৫ আগষ্ট এই জাতির জন্যে সবচাইতে বড শোকাবহের দিন। মাসটা জুড়ে তাই সকলেই শহীদদের স্মরণ করে। অনেকটা সে কারণেই এই মাসেই মানে ২১ আগষ্ট ২০০৪ সালে আরেকবার চেষ্টা করা হয়েছিলো ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ সালে বেচে যাওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার। তাকে সেদিন রক্ষা করেছিলো সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমায়। একবার নয় ১৭ বারের অধিক তাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিলো সফল হতে পারেনি তারা, আর পারেনি বলেই আজকের বাংলাদেশ পেয়েছে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ।
Drhassan Mahmud