কে এই আরাভ খান!



গত ৩-৪ দিন যাবৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত একটি নাম আরাভ খান। ৩৫ বছর বয়সী এই যুবক নাকি ১৫ টি বিয়ে করেছে। তার মানে ৩৫-২১=১৪ অর্থাৎ বছরে ১ টিওর বেশি! সবকিছু ছাপিয়ে যে প্রশ্নটি বেশি আলোচিত  তাহলো, সে বাংলাদেশে এক পুলিশ সদস্যকে খুন করে পালিয়ে ভারত যায়। ভারত থেকে ভারতীয় পাসপোর্ট বানিয়ে যায় দুবাই। দুবাইয়ে সে একটি সোনার দোকান করেছে। সেটা উদ্ধোধন করতে বাংলাদেশের সুপার স্টার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, হিরো আলম ও উঠতি নায়িকা দিঘীকে নিয়ে যায় সে। 

কিভাবে এই বয়সে এতো টাকার মালিক হলো সে তাই নিয়ে সবার মধ্যে চলছে আলোচনা সমালোচনা। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান কোটালীপাড়ার আশুতিয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম সোহাগ মোল্লা। তার উত্থানের গল্প বিস্ময়কর। ৩৫ বছর বয়সী আরাভ তিন ভাই-বোনের মধ্যে বড়। তার বাবা জীবিকার তাগিদে যুবক বয়সে কোটালীপাড়ায় এসেছিলেন। সেখানে সিলভারের হাঁড়ি-পাতিল কাঁধে বহন করে ফেরি করতেন। সংসারের অভাব দেখে ঢাকায় চলে আসে আরাভ। জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে আরাভ নিজের টাকায় গ্রামে একটি পাকা ওয়াল করা টিনশেড বাড়ি করে। সেখানে আরাভের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তার বাবা-মা বসবাস করতো। আরাভ থাকতো ঢাকায়। গ্রামের বাড়ি গেলে বড় অংকের টাকা খরচ করে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করতো। কিছুদিন আগেই একমাত্র ছেলে, বাবা-মা এবং দুই বোনকে দুবাই নিয়ে যায় সে। বর্তমানে তাদের গ্রামের বাড়ি ফাঁকা। 

 আরাভের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় তার মা এবং দুই বোনও আসামি। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খানকে ২০১৮ সালে দুর্বৃত্তরা পুড়িয়ে হত্যা করে। সেই হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি রবিউল ইসলাম আপন ওরফে আরাভ খান। এ ঘটনায় ওই পুলিশ কর্মকর্তার ভাই ডিএমপি’র বনানী থানায় ২০১৮ সালে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার এজাহার অনুযায়ী আরাভের আসল নাম রবিউল ইসলাম আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয়। আরাভ অবশ্য এক ফেসবুক লাইভে এ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

আরাভ খানের এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, এলাকায় তার বিরুদ্ধে ৬-৭ টি বিয়ের ঘটনায় ভুক্তভোগীরা বিচারপ্রার্থী হলে তার সালিশ মীমাংসা করে দেয় সে। অন্য এক মাধ্যমে জানা যায় মোট ১৫ টি বিয়ে করেছে রবিউল ইসলাম আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে আরাভ খান।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url