বিভ্রান্তির যাঁতাকলে পিষ্ট মানুষ

ইন্টারনেটের যুগে প্রযুক্তির সাথে দৌড়াতে না পারলে নানা সমস্যায় পড়তে হবে। নামে ডিজিটাল বাংলাদেশ হলে হবে না। সেইসাথে প্রশিক্ষিত জনবলও তৈরি করতে হবে। সে কাজটি করতে হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্তা ব্যক্তিরও সম্যক ধারণা থাকতে হবে সেসব বিষয়ে। 

 ইন্টারনেট ব্যবহার করে সাধারণ মানুষ যতোটা অগ্রগামী, সরকারি কিছু কিছু দপ্তর তা থেকে পিছিয়ে। এমন অনেক অফিস আছে যে অফিসের বড়কর্তা  কম্পিউটার দূরের কথা, নিজের দামি মোবাইল ফোনটিও শুধু কথা বলার কাজে ব্যবহার ছাড়া অন্য কিছু করতে পারেন না। অথচ গোটা বিশ্ব আজকাল মুঠোবন্দি। 

 ই-কমার্স চলছে কয়েক বছর ধরে। ঘটনা ঘটার পরে টনক নড়েছে দেখাশুনার কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করার। ওদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকের দায় নেবে না সরকার। দায় না নেন, গ্রাহকদের টাকা ফেরত পেতে সাহায্য তো করতে হবে। যখন ২ লাখ টাকার মটরসাইকেল প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিচ্ছিলো ই-ভ্যালির মতো কয়টা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। তখনই তাদের লাগাম টেনে ধরা উচিত ছিলো এবং এ দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কেই নেয়া উচিৎ ছিলো। কিছু মানুষ তো প্রলোভনের ফাঁদে পা দিতেই পারে। 

দেশে এখনো দু'শো বছর আগের আইন বলবৎ আছে। দু'শো বছরে প্রযুক্তি আকাশ ছুঁয়েছে। দু'শো বছর আগে আইন প্রণীত হয়েছিলো পৃথিবীকেন্দ্রিক। এখন মানুষ মহাবিশ্বের বাসিন্দা! দু'শো বছর আগে মানুষ সংবাদ আদান-প্রদান করতো পাখির সাহায্যে। এখন হাতে থাকা এন্ড্রয়েড ফোনে টিপ দিলে মুহূর্তেই পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের খবর পাওয়া যায়। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের মানুষের সাথে সরাসরি কথা বলা যায়। তারা কি করছে, কি খাচ্ছে সবকিছু সরাসরি দেখা যায়।

শুধু কি ভুপৃষ্ঠের বা ভূপ্রকৃতির খবর? আকাশ অর্থাৎ শূন্যের খবরও হাতের মুঠোয়। 

অতএব, প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে আইন, বিধি-বিধানও সংশোধন, সংযোজন ও পরিবর্তণ করা জরুরী।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url